মা হওয়া সহজ কথা নয়। সৃষ্টি সুখের আনন্দ তখনই যথার্থ হবে, যখন মা ও শিশু দুজনই সুস্থ থাকবে। এ সময় একজন মাকে নানা ধরনের সমস্যা পার করতে হয়। এ সময় তাঁর দরকার হয় বিশেষ যত্নের।
খাবারের যত্ন
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, নতুন মায়েদের অনেক বেশি তরল খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে অনেক বেশি পানি খেতে হবে। যদি গর্ভপাতের আগে ৩ লিটার পানি দৈনিক গ্রহণ করেন, তবে সেটা হবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লিটার। এটি প্রথম এক মাসের জন্য। মা হওয়ার পর সব স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবে। তবে তরল খাবার বেশি খেতে হবে। প্রতি দিন খাবারের সঙ্গে থাকতে হবে লেবু।
খাবার রুটিন
সকালের খাবার
সকালের নাশতায় থাকতে পারে জাউভাত, রুটি-ডাল-ডিম-ঝোল সবজি। সকালের নাশতার ঘন্টা দুয়েক পরে হালকা নাশতা খেতে পারেন। সেখানে থাকতে পারে ভেজিটেবল স্যুপ, ফিশ স্যুপ। মিষ্টি জাতীয় খাবারও হতে পারে। যেমন—দুধ-সেমাই, ফিরনি, পায়েস, ফালুদা।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারে থাকতে পারে জাউভাত, নরম খিচুড়ি, সাদা ভাত। তবে সবচেয়ে বেশি খেতে হবে মাছ-মাংস। প্রতিবেলায় অন্তত ১০০ গ্রাম প্রোটিন থাকতে হবে। ডাল ও ঝোল সবজি থাকতে পারে।
বিকেলের নাশতা
বিকেলের নাশতায় থাকতে পারে দুধ-সুজি, দুধ-সেমাই, দুধ-সাগু, ফিরনি। অর্থাৎ তরল প্রোটিনযুক্ত খাবার।
রাতের খাবার
এটি হবে দুপুরের মতো। তবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কিছুটা কমবে। অর্থাৎ ভাতের পরিমাণ কমাতে হবে।
বেশি বেশি তরল
বাচ্চাকে প্রথম তিন মাস চাওয়ামাত্রই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে বা পরে মাকে পানি খেতে হবে। এ ছাড়া মাকে প্রতিদিন আধা কেজি থেকে ১ কেজি দুধ খেতে হবে।
ওজন কমাতে
ওজন কমাতে চাইলে খাবারের তালিকায় তেলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। আর স্বাভাবিক গর্ভপাত করা মায়েরা বাচ্চা হওয়ার সাত দিন পর থেকেই যেকোনো ব্যায়াম করতে পারবেন। তবে সিজারিয়ানরা দেড় মাসের আগে ভারী কোনো ব্যায়াম করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে দেড় মাস পরে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে পারবেন।