অতিবৃষ্টি আর পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গোপালগঞ্জের শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এলাকার বেশির ভাগ কৃষক এবার লোকসানের মুখে পড়েছে। অন্যদিকে বাদাম পুষ্ট হওয়ার আগেই গাছের গোড়ায় পানি জমে যাওয়ার কারণে বাদাম পঁচে এলাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাদাম চাষিরা। আবার এসব বাদাম পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় লোকসানও গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় চিনা বাদামের চাষ করা হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসল হয়েছিল ভালো। কিন্তু, এবার অতি বৃষ্টিতে বাদামের জমিতে পানি জমে যায়। এসব পানি সময়মতো নিস্কাশন না হওয়ায় বাদামের গোড়া পঁচে গাছ মরে গেছে। অতি বৃষ্টির কারণে জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার করপাড়া, কংশুর, বৌলতলী, সাতপাড়, উলপুর, গান্ধিয়াশুর গ্রামের বাদাম চাষিরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব গ্রামের বাদামের জমি তলিয়ে গেছে। এক মন বাদাম উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে ভাল মানের বাদাম মন প্রতি আড়াই হাজার বিক্রি হলেও পানিতে নষ্ট হওয়া পরিপক্ক বাদাম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বাদাম চাষিদের। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাদাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা এসব জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’
- প্রচ্ছদ
- »
- অর্থ ও বাণিজ্য
- »
- গোপালগঞ্জে বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বাদাম