এই ঘটনাটি ঘটে মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর ইউনিয়নে। মোস্তফাপুর ইউনিয়নে পরিবার জোর করে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দিতে চেয়েছিল। তারপর শাহ হেলাল স্কুলের দশম শ্রেণির তিন বান্ধবীকে নিয়ে হাজির হয় মৌলভীবাজার মডেল থানায়।বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল তিন বান্ধবীর সাহসিকতা ও বুদ্ধির কারণে।
থানার ওসির সঙ্গে দেখা করে তারা জানায়, মোস্তফাপুর ইউনিয়নে তাদের এক বান্ধবীর জোর করে বাল্যবিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবার। বান্ধবীকে রক্ষার্থে পুলিশের সাহায্য চায় তারা।
একইসঙ্গে পুলিশকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করায় পারিবারিক ও সামাজিক বিবেচনায় তাদের বান্ধবীর নাম ও এই ঘটনা যেনো গোপন রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে সেই বাল্যবিয়ে ভেঙে দেয়।পরে শুক্রবার ওসি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তা এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়।এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ বলেন, আমি তাদেরকে কথা দিয়েছি তাই কারো নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে পারছি না।
এরা তিনজন দশম শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার তাদের অপর এক সহপাঠীর বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে দেয়া হচ্ছে জেনে উদগ্রীব হয়ে পড়ে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হাজির হয় থানায়। তাদের সঠিক সঠিক তথ্যের কারণে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। ধন্যবাদ তিন ছাত্রীকে।