বাগেরহাট জেলা সদর ও চিতলমারী উপজেলায় এ বছর সবুজ সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, মধ্যস্বত্বভোগী ও পরিবহন অব্যবস্থাপনার কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না সবজি উৎপাদনকারী চাষিরা। বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটলেও সঠিক মূল্য না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষক-কৃষাণীরা। এ খবর পেয়ে চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিক‚ল আবহাওয়ায় এবং কৃষকদের অক্লান্ত পরিচযার্য় প্রতিটা ক্ষেতেই হাইব্রিড করলা, লাউ, শসা, চালকুমড়া, বেগুন, ঝিঙা, কুশি, বরবটি ও ঢেঁড়শ হয়েছে। অনুরূপ সবজি হয়েছে বাগেরহাট সদরের যাত্রাপুর ও গোটাপাড়া এলাকায়। চিতলমারী উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বিশিষ্ট সবজি চাষি মিন্টু বিশ^াস, চরবানিয়ারী এলাকার অসীম বাড়ৈ, পশ্চিম পাড়ার নিপুন বিশ^াস, রায়গ্রামের বলাই, শাহাজান ও দিপংকর ঢালী এবং বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক হাওলাদার শফিউর রহমান বলেন, মাছের ঘেরের পাড়ে পরিকল্পিতভাবে সবজি চাষ করে আমরা এ বছর বাম্পার ফলন পেয়েছি। ফলনের শুরুতে খুচরা বিক্রিতে কিছুটা মূল্য পেলেও আড়তের মাধ্যমে বিক্রি করতে গিয়ে বেশি মূল্য পাওয়া যাচ্ছেনা।
আড়তের মাধ্যমে বিক্রিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম কমিয়ে দিয়েছে। অথচ খুচরা মাকেের্ট সবজির মূল্য কমেনি। চিতলামারী উপজেলার খাসের হাট সবজি আড়তে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই কৃষকদের নিকট থেকে প্রতি মণ করল্লা ৭৫০ টাকা, শসা ৫০০ টাকা, বরবটি ৪৫০ টাকা, পুইশাক ৪০০ টাকা বেগুন ৯০০ টাকা, কুশি ৭০০ টাকা, ও ঝিঙা ৫০০ টাকা করে ক্রয় করছে সবজি ব্যবসায়ীরা।
চিতলামারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয় এ বছর চিতলমারী উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে করল্লা, ৬০৫ হেক্টর জমিতে শসা ও ঢেঁড়শ, ৩০ হেক্টরে চালকুমড়া ৩৫ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়া, ৭০ হেক্টওে বরবটিসহ মোট ১৩ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এনজিওদের হিসাব মতে তাদের কাছ থেকে আথির্ক লোন নিয়ে চিতলমারী উপজেলা প্রায় ১৫ হাজার কৃষক সবজি চাষ করেছে।