রুচিশীল নারী হিসেবে কিরকম ব্লাউজ পরিধান করা উচিত?

শপিং করতে গেলে শাড়ি সহজেই পছন্দ হয়ে যায় কিন্তু তার সাথে মানানসই ব্লাউজ খোঁজা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর যাই হোক এ ব্যাপারটি কোন মতেই বেমানান হলে চলবে না। কারণ এর মধ্যে জড়িয়ে আছে আপনার সৌন্দর্য এবং রুচি। একজন রুচিশীল নারী হিসেবে তাই জেনে নিন কিরকম ব্লাউজ পরিধান করা উচিত।

১। শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ মানাবে বিষয়টি নির্ভর করবে পাড়ের ডিজাইন এবং কোন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরা হবে তার ওপর।

২। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন ব্লাউজের রঙটা হবে কন্ট্রাস্ট।

৩। স্থূলকায় হলে হাতাকাটা বা ছোট হাতার ব্লাউজ পরা ঠিক নয়।

৪। বেশি ক্ষীণকায় হলেও হাতাকাটা ব্লাউজ ভালো দেখাবে না।

৫। পিঠে দাগ থাকলে বন্ধগলার ব্লাউজ পরাই ভালো।ব্লাউজ

৬। শাড়ি ও ব্লাউজ দুটোই জমকালো হলে চলবে না।

৭। ব্লাউজের ডিজাইন কেমন হবে তা শাড়ির কথা মাথায় রেখে নির্ধারণ করুন।

৮। ব্লাউজের কাজ বেশি হলে শাড়ির কাজ কম হবে, একইভাবে বিপরীত নিয়ম

৯। মেনে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

১০। শারীরিক গঠনের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ তৈরি করুন।

১১। শাড়ি ও ব্লাউজে যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হবে, গয়নাতেও একই মিল রাখার চেষ্টা করুন।

১২। ব্যাগের মধ্যেও কাজটি যেন শাড়ি ও ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই হয়।

১৩। কাজ করা দামি ব্লাউজগুলো আলমারীতে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।

জনপ্রিয় কিছু ব্লাউজের মধ্যে রয়েছেঃ

হল্টারনেক
হাতাছাড়া এ ধরনের ব্লাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ ব্লাউজ পরতে পারেন।

টিউব চোলি
এই ব্লাউজে কোনো শোল্ডার বা স্লিভ থাকে না। মাপজোখ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ ব্লাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে।
কলার স্টাইল। এ ব্লাউজে হাতা থাকে না, তবে কাঁধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ ব্লাউজে ভালো মানাবে।

সিঙ্গল শোল্ডার
যাদের কাঁধ বড়, এ ব্লাউজ তার জন্য উপযোগী। এতে একটিমাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে, আর কাঁধ কিছুতা খোলা রাখা থাকে। শারীরিক গঠন বেশ ভালো হলে এ ধরনের ব্লাউজ বেশ আকর্ষণীয় লাগে।

করসেট
এ ব্লাউজের কাঁধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ ব্লাউজের সৌন্দর্য।

বিকিনি
অনেকটা বিকিনির মতো এ ব্লাউজ। গলার ফিতায় বা কাটে পাথর ও মুক্তা বসিয়ে ডিজাইন করা হয়। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর দুই জোড়া ফিতা। এক জোড়া গলায় এবং অন্য জোড়া থাকে কোমরে।