আজকের এই ব্যস্ত জীবনে খাবার সংরক্ষণের জন্য সংসারে যে জিনিসটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো ফ্রিজ৷ তবে ফ্রিজে খাবার ঠিকভাবে না রাখা বা ফ্রিজ পরিষ্কার না করার কারণে জন্ম নেয় নানারকম জীবাণু, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷
প্রায় দেখা যায় বাজার থেকে ফলমূল আর শাকসবজি এনে একসঙ্গে ফ্রিজে রাখেন অনেকেই। একদিন যেতে না যেতেই সেই শাকসবজি আর ফলমূলের তরতাজা ভাবটা নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে কিছু কিছু শাকসবজি ও ফলমূল একসঙ্গে রাখা যায় না।
জেনে নেই ফ্রিজে যেসব খাবার একসঙ্গে রাখতে নেই এবং শাকসবজি আর ফলমূল তরতাজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে-
# শসা রাখতে হবে আলাদা। টমেটো, কলা, এবং তরমুজের ইথিলিন গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসটি ফলমূল ও শাকসবজি পাকাতে সাহায্য করে। শসার শরীরে এই ইথিলিন গ্যাস লাগলে শসা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে শসাকে আলাদা রাখুন।
# পুদিনা ও ধনেপাতা জাতীয় ভেষজ পাতাকে ফুলের মতো যত্ন নিন। এই পাতাগুলো যাতে শুকনো থাকে সেটা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর এগুলোকে কোনো বয়ামে পানি ঢেলে ভেতরে চুবিয়ে রাখুন। দুই সপ্তাহের মতো টিকবে। তবে পানিটা একটু ময়লা হয়ে এলে আবার নতুন পানি ঢেলে দিন।
# মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে আপেল কখনোই একসঙ্গে রাখা যাবে না। একসঙ্গে রাখলে আপেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
# মাটির নিচে থাকা শাকসবজি যেমন গাজর, মূলা, বিট, পেয়াজকে ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এগুলো ঘরের কোনো ঠাণ্ডা, অন্ধকার এবং আদ্র কোনও জায়গায় রাখলেই অনেকদিন টিকে থাকে। ফ্রিজে রাখলে বরং এগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
# বেরি জাতীয় ফল যেমন আঙুর এবং চেরি ফলকে অনেকদিন টিকিয়ে রাখার জন্য এক কাপ ভিনেগার পরিমাণমতো পানিতে মিশিয়ে ওই পানি দিয়ে ফলগুলো ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন।
# আপেল এবং কমলাকে ফ্রিজে একসঙ্গে রাখা যাবে না। কমলাকে একটি জালিযুক্ত ব্যাগে আলাদা করে রাখতে হবে যাতে এর মধ্যে বাতাস যেতে পারে।
# আলু এবং পেয়াজকে একসঙ্গে রাখবেন না। বরং পেয়াজের সঙ্গে রাখতে পারেন রসুনকে। অনেকদিন তরতাজা থাকবে।