আজ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়।তাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু।
ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এ অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রতিবেদনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। গত জানুয়ারিতে কমিটি শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়।গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়।
পরিদর্শন দল ভল্টে রাখা সোনার যাচাই-বাছাই শেষে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। তাই ভোল্টে রক্ষিত স্বর্ণের গরমিলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে রক্ষিত স্বর্ণে কোন রকমের হেরফের হয়নি।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণে গরমিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
প্রতিদিন আপডেট পেতে আমাদের পেজে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে এক্টিভ থাকুন।