আগে মনে করা হতো শুধুমাত্র বয়স্ক নারীদেরই স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ২৫ থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়সী সব নারীরাই এই ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন।
অনেকসময় প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লেও এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে চতুর্থ ধাপে পৌঁছে যাচ্ছে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো, একবার এই রোগ সেরে যাওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে আবারও এটি ফিরে আসছে রোগীর দেহে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে থাকা প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।এটি হালকা ভাপ দিয়ে সামান্য লবণ খেলে উপকার পাবেন।বাঁধাকপি কখনোই বেশি সময় ধরে রান্না করা ঠিক নয়। এতে এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
উজ্জ্বল রঙের ফল ও সবজি: উজ্জ্বল রঙের বিশেষ করে লাল, হলুদ ও কমলা রঙের সবজি এবং ফলে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।এছাড়া তরমুজ, কমলা, লাল মরিচ, মিষ্টি আলু, টমেটো, গাজর -এসব খাবারও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আখরোট: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আখরোট স্তনের টিউমারের বৃদ্ধির গতি কমিয়ে আনে। যেহেতু এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে তাই এটি খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। নিয়মিত অল্প পরিমাণে আখরোট খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। এটি স্তন টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। মাংস ম্যারিনেট করে রাখার সময় সহজেই এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সবজি রান্নাতেও সামান্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়।সবচেয়ে ভালো হয় যদি এটা সালাদের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এজন্য নিযমিত টকদই ও পনির খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।সপ্তাহে অন্তত ২ দিন সামুদ্রিক মাছ খেতে পারলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।