হালকা চিনচিনে ব্যথাটা কোমরের পেছন দিকে হতে পারে বিভিন্ন কারণে। অথচ এমন উপসর্গ নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই উৎকণ্ঠায় থাকেন এটা ভেবে যে, বুঝি কিডনিতে মারাত্মক কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে! সত্যি বলতে কী, কিডনিতে পাথর বা খারাপ ধরনের সংক্রমণ না হলে ব্যথা করার কথা নয়। কোনো ধরনের ব্যথা-বেদনা ছাড়াও কিডনি খারাপ হতে পারে। কোমর ব্যথার আছে নানা কারণ ও উৎস।
কিডনি রোগের উপসর্গ বা ব্যথা : এ ব্যথা সাধারণত মেরুদ- থেকে একটু দূরে ডান বা বাঁ পাশে হয়। এটি পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হওয়ার কথা। এ ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুপাশেও যেতে পারে। এ ব্যথা থেকে থেকে আসে, শোয়া-বসা বা কোনো কিছুতেই আরাম মেলে না। কিডনির সমস্যায় ব্যথা মূল উপসর্গ নয়। এতে শরীরে পানি আসা, দুর্বলতা, অরুচি, বমির ভাব দেখা দিয়ে থাকে। সংক্রমণ হলে জ্বর হতে পারে এই ব্যথার সঙ্গে। প্রস্রাব ঘোলাটে হয়, দুর্গন্ধ বা রক্ত থাকতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ কম-বেশি হয়। রক্তশূন্যতা থাকতে পারে। কিডনি খারাপ হওয়ার পেছনে দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ, ব্যথানাশক বড়ি খাওয়া ইত্যাদির ইতিহাস থাকবে।
কোমর ব্যথার অর্থ : বেশিরভাগ কোমর ব্যথা সাধারণত মাংসপেশি, মেরুদ-ের হাড়, ডিস্ক, সন্ধি ও স্নায়ুসম্পর্কিত। এটি নির্দিষ্ট অংশজুড়ে হয়ে থাকে। মেরুদ-ের নড়াচড়া, যেমনÑ ওঠাবসা, সামনে ঝোঁকা, হাঁটা বা দাঁড়ানো, অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা বা শুয়ে থাকার সঙ্গে এ ব্যথা বাড়ে-কমে। সাধারণত জ্বর হয় না (তবে টিউমার, টিবি ইত্যাদি ছাড়া)। দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অরুচি, বমির ভাব ইত্যাদি আনুষঙ্গিক সমস্যা সাধারণত থাকে না। সাধারণত বিশ্রাম ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ভালো হয়; বন্ধ করলে ব্যথা আবার ফিরে আসে।