কিডনির পাথর গলাবে যেসব জুস

কিডনির ভিতরে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি যা আমরা কিডনির পাথর বলে থাকি। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান সাধারণত তারাই বেশি এ রোগের সম্মুখীন হন। এছাড়া জিনগত ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেও পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।

এ রোগে অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওসুধ সেবন করেন। কেউ বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাথর সহ পিত্তথলিটি ফেলে দেন। তবে যারা ওষুধ কিংবা অস্ত্রোপচার কোনটার পক্ষেই নন, তারাও মুক্তি পেতে পারেন কিডনির অসহ্য যন্ত্রণা থেকে। এক্ষেত্রে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খান যা প্রাকৃতিকভাবেই আপনার কিডনির পাথর গলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কিডনির পাথর গলাতে ভূমিকা রাখে যেসব জুস-

লেবুর জুস:
কিডনির পাথর গলাতে লেবুর জুস খুবই কার্যকরী। প্রথমে কয়েকটি তাজা লেবু নিয়ে চার আউন্সের মতো রস বের করুন। এবার এর সঙ্গে ২ লিটার পানি মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। চাইলে এর সঙ্গে সামান্য চিনিও মেশাতে পারেন। এই পানীয় পানে কিডনির পাথর থেকেই শুধু রক্ষা পাওয়া যায় না, একইসঙ্গে ব্যথা থেকেও মুক্তি মেলে। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে দুবার এই জুস খেলে কিডনির পাথর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

লেবুর রস, কাঁচা আপেল সিডার ভিনেগার ও জলপাই তেল:
প্রাকৃতিকভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এই উপাদানগুলোর জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে ০.৫ আউন্স লেবুস জুস ১২ আউন্স পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার পান করার আগে এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ কাঁচা আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যথা থেকে মুক্তি না মেলে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতি এক ঘণ্টায় এই পানীয় পান করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।

ডালিমের জুস:
কিডনির পাথর গলাতে আরও একটি প্রাকৃতিক উপাদান হতে পারে ডালিমের জুস। তবে ভালো ফলাফলের জন্য এটি টাকটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

তরমুজের জুস:
তরমুজের জুস কিডনির পাথর গলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাশিয়াম রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর কিডনির জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া এটি ইউরিনে অ্যাসিডের উপস্থিতির মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এর জুস পানে কিডনির পাথর গলে যায়।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মতো মনে হলেও পিত্তথলিতে পাথরের কারণে ব্যথার একটু ভিন্নতা আছে। এই ব্যথা সাধারণত অ্যাসিডিটিজনিত ব্যথার চেয়ে তীব্রতর হয়। গ্যাসের ওষুধ সেবনে এ ব্যথা সম্পূর্ণ উপশম হয় না। কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তারপর ভালো হয়ে গেলেও কিছুদিন পর আবার হয়। কাজেই আগে থেকেই সাবধান হোন। নিয়মিত জুস পানে কিডনিকে পাথরমুক্ত রাখুন।