সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মিলিত সহমতেই সন্তানের জন্ম হয়। এক্ষেত্রে নারীরা যেমন সন্তানকে গর্ভে ধারণ ও বহন করে, তেমনই পুরুষেরও দায়িত্ব কিছু কম থাকে না। গর্ভধারণের জন্য নারী-পুরুষ দুইজনকেই সমান উপযুক্ত হতে হয়। এক্ষেত্রে উর্বরতা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। নারীদের ক্ষেত্রে যেমন তা প্রযোজ্য, তেমনই পুরুষদের ক্ষেত্রেও বীর্যের গুণমাণ থেকে শুরু করে আরও হাজারো বিষয় রয়েছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নারীরা সুস্থ থাকলেই শুধু হবে না। পুরুষদের কোনওরকম অক্ষমতাও সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে সমান বাধার সৃষ্টি করতে পারে।যেকোনও বয়সেই পুরুষদের বীর্য যেমন সন্তানের জন্ম দিতে পারে, তেমনই তার গুণমান বজায় না থাকলে যেকোনও বয়সের পুরুষই সমস্যায় পড়তে পারে। শুধুমাত্র বীর্যের গুণমান নয়, আরও নানা বিষয় রয়েছে যা ছেলেদের পুরুষত্বে বাধার সৃষ্টি করতে পারে।
১.কম স্পার্ম কাউন্ট: যদি কোনও দম্পতি সন্তানসুখ পেতে চান তাহলে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কম হলে চলবে না। স্পার্ম কাউন্ট কম থাকলে নারীর গর্ভে সন্তান আসবে না।
২.হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: পৃথিবীজুড়ে বহু পুরুষ বন্ধাত্ব্য সমস্যায় ভুগছে। আগে ভাবা হতো যে এই সমস্যা শুধু নারীদের। পরে জানা গেছে, পুরুষের সমস্যাও একইরকম। পুরুষের শরীরের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটলে বন্ধাত্ব্য আসতেই পারে।
৩.শীঘ্রপতন: শীঘ্রপতনের ফলে পুরুষদের বীর্যে স্পার্ম কাউন্ট কম হয়। যার ফলে সন্তান জন্মের সম্ভাবনা কমে যায়। ডায়বেটিস, শিরদাঁড়ায় আঘাত বা প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যায় শীঘ্রপতনের সমস্যা হয়।
৪.স্পার্ম বহন: পুরুষাঙ্গে ভিতরে অনেকগুলি ভিন্ন টিউব থাকে যা স্পার্ম বহন করে। নানা সময়ে যেমন কোনও সার্জারি বা অন্য কিছু কারণে তা আটকে যেতে পারে। এর ফলে পুরুষের পুরুষত্ব বিঘ্ন হতে পারে।
৫.ক্রোমোজোমের সমস্যা: ক্রোমোজোম জনিত সমস্যা বা ডিসঅর্ডারের কারণে পুরুষের সমস্যা হতে পারে। এর কারণে স্পার্ম কাউন্ট অনেকটা কমে যেতে পারে।