লেট টমেটো চাষ করে ব্যাপক মুনাফা করা যেতে পারে। গঙ্গাচড়াস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বুড়িরহাট, রংপুরে চাষ করে এ তথ্য প্রদান করেন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, টমেটো একটি শীতকালীন ফসল। কিন্তু শীতকাল ও গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি সময়েও আর একটি টমেটো চাষ করা যেতে পারে। যা লেট টমেটো হিসেবে পরিচিত। এতে গ্রীষ্মকালের মত বাড়তি খরচ হিসেবে পলিথিনের সেড তৈরি না করেও টমেটো চাষ করা যায়। আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বুড়িরহাট, রংপুরের লেট টমেটো চাষে সংশ্লিষ্ট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশিষ কুমার সাহা বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ফার্মে লেট টমেটো চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বীজতলায় বীজ বপন করে ৩ মার্চ চারা লাগান এবং গত ২০ জুন সর্বশেষ টমেটো হারভেষ্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, টমেটোর প্রধান রোগ ঢলে পড়া। এ রোগের কারণে কৃষকরা টমেটে চাষে নিরুত্সাহিত হচ্ছে। লোকসান গুনছেন চাষিরা। কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ঢলে পড়া রোগ থেকে রক্ষার জন্য লেট টমেটো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে আশাবাদী। সামনের বছরে আর কিছু ব্যবস্থাপনা দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এ সময় বৃষ্টির পানি যাতে সহজে বের হয়ে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন শীতকালীন টমেটোর মতই ফলন হবে। দামও বেশি। মুনাফা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হেক্টর প্রতি ৮০ টন পর্যন্ত ফলন হতে পারে। এ সময় টমেটোর চাহিদা রয়েছে। বাজারে দামও বেশি। বর্তমানে বাজারে কম-বেশি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শীতকালীন টমেটোর ন্যায় লেট টমেটোতে ছত্রাকনাশক ওষুধ লাগে না কিন্তু গ্রীষ্মকালীন টমেটোতে বৃষ্টির কারণে ঢলেপড়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে সব জমিতে পানি সহজেই বের হয়ে যেতে পারে এমন জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের বীজ সরবরাহসহ কারিগরি সহায়তা দিবে কর্তৃপক্ষ। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারে।
গঙ্গাচড়াস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বুড়িরহাট, রংপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রইচ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টমেটো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লেট টমেটো চাষাবাদ করলে খুবই লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ ব্যাপারে আগ্রহী কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।