মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দরদ ভাঁওতাবাজি : রিজভী

রিজভী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে ৭১’এর রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব) অলি আহমেদ বীর বিক্রমের উপর ছাত্রলীগ যুবলীগকে দিয়ে হামলা করাতেন না। এ হামলা পরিকল্পিত, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে।’

হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় বলে গতকাল জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তাহলে তিনি ছাত্রদের তুমুল আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের কথা কেন বলেছিলেন? তখনতো হাইকোর্টের রায় ছিল। তখন তাঁর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে যে কোন ঘোষণা মানেই সেটি আইনের সমতুল্য এবং তা কার্যকর হতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি তারা কোট সংস্কার চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে এটা এখন সুস্পষ্ট যে, তিনি ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’

রিজভী বলেন, ‘সেদিন আমরা বলেছিলাম কোটা বাতিলের ঘোষণা একটা ধাপ্পাবাজি। আন্দোলনে ছাত্র নেতাদেরকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই দিনে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ম্যাকিভ্যালির চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন।’

ঈদের পর আবারও ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী দলন পীড়নের নিষ্ঠুর পথ বেছে নিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি রাম দা আর বাশেঁর লঠিসহ ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর। কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা রাশেদকে দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে তাকে থেতলে দেওয়া হচ্ছে। তার অত্যাচারের বিভীষিকার কাহিনী শুনলে কোন মানুষই চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে না।’

রিজভী আরও বলেন, ‘একের পর এক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রদের এখন গ্রেপ্তার করে তাদের উপর পৈশাচিক উৎপীড়নের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে যে কোন আন্দোলনের পরিণতি কত ভয়ংকর হতে পারে। সরকার প্রধান যে কত ভয়াবহ প্রতিশোধ পরায়ণ হতে পারেন তার একের পর এক দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্দোলনরত শিক্ষাথীদের ওপর নেমে আসা বর্বরতার নিদর্শন দেখে।’
অবৈধ এ সরকার রাষ্ট্র সমাজের সর্বত্র ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলেও জানান বিএনপির এই নীতি নির্ধারক।