আধুনিক জীবন মানুষকে চাপের মুখে রেখেছে। কর্মজীবন দৈহিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টিতে যথেষ্ট। এর প্রভাব দৈহিক আকৃতির মাধ্যমে ফুটে ওঠে। স্ট্রেস মানেই হলো দেহে অতিরিক্ত কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ। এই হরমোন নাড়ি-ভুঁড়িতে ফ্যাট হিসেবে জমা পড়তে থাকে। কাজেই টেনশন ও চাপ নিয়ে জীবন কাটাতে থাকলে পেটের সাইজ বাড়তে থাকবে। মেডিটেশন, ইয়োগা ইত্যাদির মাধ্যমে দেহে এন্ডোরফাইন, ডোপামাইন ও সেরোটোনিনের মতো সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়।
রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনি
মিষ্টি খেতে কে না পছন্দ করে? এর ক্ষতিকর দিকগুলো জানা সত্ত্বেও কেউ চিনি খাওয়া থেকে বিরত হতে পারে না। আপনি যখন বেশি চিনি খান, তখন দেহে আরো বেশি ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন হয়। এতে কোমরের চারপাশ স্থূলকায় হতে থাকে। যদি নিজের এ অবস্থা না দেখতে চান তো খাদ্যতালিকা থেকে চিনিকে মুছে ফেলাই উত্তম। অন্তত পরিমাণ একবারে কমিয়ে আনুন।
উচ্চমাত্রায় এস্ট্রোজেন
যদি দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় নিতম্ব বেশি ভারী ও স্থূল হয় তবে দেহে এস্ট্রোজেনের পরিমাণ অতিরিক্ত বলে ধরে নিতে পারেন। মেয়েদের ‘প্রিমিনস্টরুয়াল সিনড্রোম (পিএমএস)’ সমস্যাও দেখা দেয় একই কারণে। বেশি বেশি সবজি খেলে উপকার মেলে।
নিম্নমাত্রায় টেস্টোস্টেরন
এ ক্ষেত্রে হাতে চর্বি জমে। বিশেষ করে বাহুর নিম্নাংশে স্থূলতা দেখে দিতে থাকে। এ সময় ঊর্ধ্বাংশ বা নিম্নাংশের পেশি গঠন দুরূহ হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাহুর নিচের অংশ এমনটা হয় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গেলে। খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ‘ডি’-পূর্ণ খাবারের সংযোগ ঘটাতে হবে। মাশরুম বেশ উপকারী হয়ে উঠতে পারে।