সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতি শোষণ-তোষণের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও তাদের নীতিতে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। যথারীতি তারা পাকিস্তানি জান্তাকে বাঙালির প্রাণের দাবি স্বাধীনতাকে দাবিয়ে রাখার জন্য সামরিক শক্তি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নিজ রাষ্ট্রের আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতিকে উপেক্ষা করে কিছু মানুষ মানবতার পথ বেছে নিয়েছেন সভ্যতার ইতিহাসের প্রারম্ভ থেকেই। সেই সময় নিজ দেশ আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির বিরোধীতা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারীদের মধ্যে স্যালি উইলোবি একজন। তিনি বলেন, ‘আমি তখনো বাংলাদেশ বা তত্কালীণ পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানতাম না। শুধু জানতাম যে এখানে পাক বাহিনী যা করছে তা মানবতা গর্হীত। আর আমার দেশের সরকার তাদেরকে সাহায্য করার জন্য যখন শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় তখনই আমরা পিস মুভমেন্টের মাধ্যমে এর বিরোধীতা করি।’ অবশ্য এই আন্দোলনের সময় তাদের মাথায় আটক হওয়ার পরোয়ানা বাঁশি বাজাচ্ছিল। স্যালির ভাষায়, ‘সেই সময় আমরা সমগ্র আমেরিকা জুড়ে শত শত ছোট গ্রুপে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আর আমাদেরকে জানানো হয়েছিলো আন্দোলনের পরিণতি হবে জেলের ঘানি। আমরাও জানিয়ে দিয়েছিলাম, আটক করেন তবুও আমরা অন্যায় মেনে নেবো না।’ মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছেন তিনি। আটক হয়ে জেলে ছিলেন তিনদিন। কিন্তু শাসক শ্রেণির এহেন প্রয়াস তাকে থামানোর ক্ষমতা রাখে না। তার ভাষায়, ‘৯১ বছর বয়সে আমার মা ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আটক হয়েছেন এবং জেলে গিয়েছেন।’ স্যালির বাবা-মা দু’জনই আজীবন র্যাডিকেল আন্দোলনের সাথে যুক্ত। আর তাদের সন্তানও সেই পথই বেছে নিয়েছেন। সেই ২৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে যে ভুল করেননি তা তার কথায় প্রকাশ পেলো। তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমাদের আন্দোলনের কারণে সরকারের টনক নড়ে এবং আমরা অনেকাংশে সফলও হই। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পর তিনি এই দেশে আসেন।
- প্রচ্ছদ
- »
- লাইফস্টাইল
- »
- মানবতার সেবক স্যালি উইলোবি