জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’ কারা পাচ্ছেন সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ৪ এপ্রিল। আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার মঞ্চে যাওয়ার আগে নিজেদের অনুভূতির কথা জানালেন প্রথমবার এই পুরস্কার বিজয়ী কয়েকজন—
নুসরাত ইমরোজ তিশা
‘অস্তিত্ব’ ছবিতে প্রতিবন্ধী তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম আমি। চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল আমার জন্য। কারণ এমন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করাটা একটু কঠিন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। ছবিটি মুক্তির পরপরই ব্যাপক প্রশংসা পাই সবার কাছে। আমি কৃতজ্ঞ যে, এই ছবিটি ও আমার চরিত্র সবার পছন্দ হয়েছে। আর বিশেষ করে এই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে পুরস্কারটা জিতেছি, এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। আগামীকাল (আজ) প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করবো ভাবতেই ভালো লাগছে।
কুসুম শিকদার
আসলে যেকোনো শিল্পীরই প্রশংসা বা স্বীকৃতি পেতে ভালো লাগে। এটা আমি অস্বীকার করবো না। আমারও ভালো লাগছে। যেহেতু এটা অভিনয়শিল্পী হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সর্বোচ্চ সম্মান সেহেতু নিঃসন্দেহে আমি এমন পুরস্কার প্রাপ্তিতে পুলকিত। আর জানি না এটা বলা ঠিক কি-না, আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র শিল্পীরা রয়েছেন, অনেক স্কিলড অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা এই পুরস্কারটি পাননি। কিন্তু আমি তৃতীয় চলচ্চিত্র দিয়েই এই পুরস্কারটি পেয়েছি। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান। এজন্য আমি জুরি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।
মেহের আফরোজ শাওন
যেকোনো পুরস্কার পেলেই আসলে ভালো লাগে। আমার প্রথম পরিচালিত ছবিতে দুটি পুরস্কার এসেছে, এটা আমার জন্য অনেক অনেক আনন্দের এবং অনুপ্রেরণার। যে গানটির জন্য আমি পুরস্কার পেয়েছি সেই গানটির পুরস্কার আমাকে অনেক আগেই দিয়েছেন শ্রোতারা। অসংখ্য মানুষের রিংটোন হিসেবে ব্যবহার হয় এটি। এসব দেখে অনেক ভালো লাগে। এবার রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও মিললো। অনেক ভালো লাগছে। গানটির গীতিকার হুমায়ূন আহমেদ এটি দেখলে খুব খুশি হতেন। আমার গাওয়া গান তার বিশেষ পছন্দের ছিল।