চট্টগ্রামের সুপরিচিত চিকিৎসক, বিএমএ’র একাধিকবার নির্বাচিত নেতা ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরীকে আমি একজন সজ্জন, বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ হিসেবে জানতাম। মনে পড়ে বহু বছর আগে একবার আমার কন্যা অসুস্থ হলে নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করাতে হয়, একদিনের জন্য। ভর্তির পর জামিল ভাই ওই ক্লিনিকের পরিচালক, এটা জানার পর তাঁকে ফোন দিই। পরিচিত আরো কয়েকজন ডাক্তারকেও ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ছুটে এসেছিলেন দু’জন — জামিল ভাই ও সুপ্রিয় ডা. নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। দু’জনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে জামিল ভাইয়ের সহযোগিতার কথা আজো ভুলতে পারি না। যেমন আমি ভুলতে পারি না আরো অনেক ডাক্তার বন্ধু ও স্বজনের আন্তরিক সহযোগিতা। এঁদের মধ্যে আছেন ডা. শামীম, ডা. মেসবাহ, ডা. মতি, ডা. রোমেল, ডা. উৎপল দাশ, ডা. স্বপন কুমার, ডা. শাহানা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
কিন্ত কাল জামিল ভাই আমার মন ভেঙে দিলেন। বিএমএ’র যৌথ সভায় তিনি সরাসরি সাংবাদিকদের ‘মাইর’ দেওয়ার কথা বললেন। শুধু তাই না, ক্লিনিক ও হাসপাতালের দারোয়ান, ওয়ার্ড বয়, সুইপার, পিয়ন ও নার্সদেরকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ‘মাইর’ দেওয়ার আহ্বান জানালেন!
“যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা পাল্টা মাইর দিচ্ছেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত কিচ্ছু হবে না…” স্পষ্ট ভাষায় এমন উস্কানি দিলেন! — আমার চোখ বোধহয় ঝাপসা ছিলো, শ্রবণশক্তিও মনে হয় কমে গিয়েছিলো ওই সভার ভিডিও ক্লিপিং দেখার সময়, তাই আমার চিরচেনা জামিল ভাইকে খুব অচেনা লাগছিলো! প্রচুর হাততালি পেলেন তিনি। আমার খুব প্রিয় ও পরিচিত কয়েকজনকেও দেখলাম “মাইরের” কথায় হাততালি দিতে…!!
আচ্ছা, ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম ভাই কিংবা ডা. শামীম ভাই কিংবা ডা. মুজিবুল হক ভাইও কি ছিলেন এই ‘ঝাঁঝালো’ সভায়? ক্ষণিকের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় ঠাহর করতে পারিনি …!!!
(পাদটীকা: ডাক্তার-কীর্ণ বিএমএ-এর এই সভায় একজন বক্তাও সাংবাদিক রুবেল খানের শিশু কন্যা রাইফা’র দুঃখজনক মৃত্যুতে ব্যথিত হলেন না, একটু সমবেদনা জানালেন না)