আসক্তি থেকে মুক্তি সম্ভব। মিলেছে সমাধানও। গবেষণায় উঠে এল এমনই এক থেরাপি, যা সাহায্য করবে নেশামুক্তিতে। বিপরীতমুখী ভাবে কাজ করবে নতুন থেরাপিটি। যা আসক্তদের ভবিষ্যতে ড্রাগ আসক্তি থেকে দূরে রাখবে।
সম্প্রতি, গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। যেখানে বলা হয়েছে, থেরাপিটি প্রথমে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। যেখানে ইতিবাচক ফলাফল দেখা গিয়েছে৷
অভ্যাসের বশীভূত হয়ে ড্রাগের আশ্রয় নেওয়া ব্যাক্তিদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। যা ধরা পড়েছে গবেষণায়। এর নেতিবাচক প্রভাব বাধা দেয় ড্রাগের নেশা থেকে দূরে থাকতে।
সেরোটনিন, এক ধরনের মস্তিষ্ক রাসায়নিক। যা স্নায়ুতন্ত্রে বার্তা পাঠায়, যেটির ভূমিকা মানবদেহে ভীষণই গুরত্বপূর্ণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, ড্রাগ আসক্তদের শরীরে এই সেরোটনিন রাসয়নিকটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
পরীক্ষাটি চলাকালীন নিয়মিতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ড্রাগ ইঁদুরের শরীরে ইনজেক্ট করা হত। পরে, অর্ধেক ইঁদুরকে থেরাপিটি এবং বাকিদের শুধুমাত্র সেলাইন দেওয়া হয়। থেরাপি অধীনস্থ ইঁদুরের শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে।
এক গবেষক বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আমরাই প্রথম এই ধরণের থেরাপি নিয়ে আসতে চলেছি। যেটি ড্রাগের নেশামুক্তিতে সাহায্য করবে বহুমানুষকে।