উকুন কীভাবে ছড়ায়- উকুন একবার কারও মাথায় এলে সহজে তা দূর করা যায় না। কারণ উকুন কারও মাথায় আসে না। আসে বাড়িতে। একজনের মাথায় চেপে ঢোকে এক একটি বাড়িতে। এর পরে একজন একজন করে সবার মাথায় বাসা বাঁধে। এবারে তার যাত্রা শুরু হয় একটি বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দিকে। পাড়া থেকে পাড়া বদল হয়।
অনেকের ধারণা উকুন শুধু মাত্র অপরিষ্কার চুলে হয়। এটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। উকুন পরিষ্কার, অপরিষ্কার, লম্বা, ছোট যেকোনো চুলেই হতে পারে। উকুনের বেঁচে থাকার জন্য শুধু দরকার হালকা গরম পরিবেশ আর এমন একটা স্থান যেখান থেকে তারা খুব সহজেই রক্ত শুষে নিতে পারবে। তাই মানুষের খুলি হচ্ছে উকুনের বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভালো জায়গা।
উকুন কীভাবে ছড়ায়?
উকুন সাধারণত শিশুদের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। এক শিশুর জামা কাপড়, চুল থেকে আরেক শিশুর মাথায়, কাপড়ে উকুনের ডিম ছড়াতে পারে। যেসব শিশু স্কুলে পড়ে তাদের ক্ষেত্রে এ রকম বেশি হয়। উকুন আছে এমন কেউ যদি কোথাও মাথা লাগিয়ে বসে তখন তার মাথা থেকে উকুনের ডিম সেখানে লেগে যেতে পারে। তার পরে ওই এক-ই স্থানে অন্য কেউ মাথা রাখলে তার মাথায় উকুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। একজনের মাথার সঙ্গে আর একজনের মাথা লেগে থাকলে সে ক্ষেত্রে উকুন ছড়ায় দ্রুত। চিরুনি, তোয়ালেও বড় মাধ্যম। আর তাই সন্তানের মাথায় উকুন মানেই মায়ের মাথায় আসবেই।
এবার দেখে নিন উকুন ছড়ানোর অঙ্ক :
ধরা যাক, একটি ছোট্ট মেয়ের মাথায় উকুন এলো। এবার স্কুলে তার দুই পাশে বসা দুই বন্ধুর মাথায় গেল। সেই দুজনের থেকে আরও এক বা দুজনের মাথায়। এরা সকলেই বাড়ি গিয়ে নিজের মায়ের মাথায় চালান করে দিল। মায়েরা দিল খালা-ফুফুদের মাথায়। তারা দিলেন তাদের বান্ধবীদের মাথায়। এরা কেউই অপরিষ্কার নয়, তবুও। একেই বলে জিওমেট্রিক প্রোগ্রেশন। বাংলায় গুনোত্তর প্রগতি।
কেউ একজন সব উকুন মেরে ফেললেও নিস্তার পাবে না। কারণ, একই সময়ে সবার মাথার উকুন তাড়ানো সম্ভবই নয়।