সেক্স বা যৌন মিলন। মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা পৃথিবীতে মানব সভ্যতা চলমান রাখার মাধ্যমও বটে। তবে আধুনিক যুগে শুধু মানুষের প্রজন্ম ধরে রাখার জন্যই নয়, যৌন মিলনকে অনেকটা ইন্টারটেনমেন্টও ভাবা হয়। তাই যৌন মিলন বা সেক্সচুয়াল লাইফকে কীভাবে আরও আনন্দঘন, পরস্পরের কাছে পরিতৃপ্তদায়ক করা যায়- এ নিয়ে রীতি মতো গবেষণাও হচ্ছে।
বিশেষ করে বর্তমান যুগে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যৌন মিলনে কীভাবে বেশি উপভোগ করতে পারেন, নারীদের কাছে সেক্স আরও তৃপ্তিদায়ক (অর্গাজম) হয়- এ নিয়েও নানা মতামত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মাধ্যমে সঙ্গিনীর সঙ্গে পুরুষের পারস্পারিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়।
এবার জেনে নেয়া যাক- সঙ্গিনী যৌন মিলনে পরিতৃপ্ত কিনা, তা পুরুষ বুঝবেন কীভাবে?
যৌন মিলনের শেষ পর্যায় হচ্ছে অরগাজম বা চরম তৃপ্তি। নারীদের জন্য অরগাজম একেবারেই অন্যরকম একটা অনুভব। আপনার পরিচিত অন্য কোনও অনুভব বা অনুভুতির সাথে এটার মিল খুঁজে পাবেন না।
গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারীর অরগাজমের সাথে পরিচয় নেই। এমনকি তারা জানেন না- অরগাজমের ব্যাপারে। কেননা পুরুষের চাইতে নারীর অরগাজমটা একটু ভিন্ন ও গভীর। পুরুষের অরগাজম বা যৌন মিলনে পরিতৃপ্তি যত সহজে আসে, নারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। নারীর অরগাজমে সময় ও যৌন মিলনের সঠিক পজিশন প্রয়োজন। যা অনেকেই না মেনে সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হন।
যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষ যেমন বীর্যপাতের আগ মুহূর্তে বুঝতে পারেন পরিতৃপ্তি, নারীর ক্ষেত্রেও তাই। যৌন মিলনের সময় অরগাজম হবার কয়েক মুহূর্ত আগেই নারীও বুঝতে পারবেন যে চরম মুহূর্ত উপস্থিত হতে যাচ্ছে।
এসময় হার্ট বিট বেড়ে যেতে শুরু করবে, মুখে রক্ত জমবে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাবে। কেউ কেউ ঘামতেও শুরু করবেন। তবে সব চাইতে নিশ্চিত ব্যাপারটি হচ্ছে নারীর যোনিতে এমন একটা উত্তেজনাময় অনুভব তৈরি হবে- যেটা আগে কখনও অনুভব করেননি। এক রকমের অবর্ণনীয় আনন্দ বা সুখ পাওয়া যাবে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই অনুভবের পর ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করবেন। আর যোনির পিচ্ছিল ভাব কমে গিয়ে যোনি শুকিয়ে আসবে।
পাশাপাশি পিপাসা বোধ করতে পারেন, ক্লান্তিতে ঘুম আসবে, হুট করেই যৌন মিলনের আগ্রহ হারিয়ে যাবে। শরীর কাঁপতেও পারে আবেশে। যোনির ভেতরে কম্পন অনুভূত হতে পারে।
এসব লক্ষণ প্রকাশের আগে পুরুষের বীর্যপাত হলে বুঝতে হবে সঙ্গিনীকে পরিতৃপ্ত করতে পারেননি। যা দাম্পত্য জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।