বেশিরভাগ পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো করেন!

পৃথিবীর অমোঘ নিয়মেই নারী-পুরুষ একে অন্যকে ভালবেসে থাকেন। প্রেমে পড়ে থাকেন। কিন্তু একতরফা প্রেমের কোনও মানে আছে কি? কাছের মানুষকে মনের কথা বলতে পারলে তবেই না প্রেমের সার্থকতা। কিন্তু বলারও তো একটা ধরন আছে। সঠিক কথাও বেঠিকভাবে বললে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে। কোথায় গলদ থেকে যায়?

১. কাউকে ভাল লাগতে শুরু করলেই ছেলেরা নিজের মতো করে সমস্ত পরিকল্পনা করে নেন। কিন্তু আপনি যেমনটা ভাবছেন তেমনটা তো সমস্ত ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। অন্যদিকের একই মত পোষণ নাই করতে পারেন। যাঁর প্রেমের পড়ছেন, তাঁর মনের কথা আগে মুখে স্পষ্টভাবে জানুন। তারপরই ভালবাসার সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত হবেন।

২. প্রেমে পড়লে ছেলেরা একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ঘনঘন মেসেজ, ফোন করতে থাকেন। প্রেমিকার খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এতে কিন্তু সম্পর্কের শুরুটাই খারাপ হয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব জগৎ রয়েছে। তাকে সেটুকু ছেড়ে দিতে হয়।

৩. অনেকেই প্রেমের শুরু থেকেই বিয়ের কথা চিন্তা করতে শুরু করে দেন। এখানেই ভুলটা করে বসেন। বর্তমান যুগে কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক মানেই বিয়ে নয়। অনেকেই প্রেমের শুরুতে বিয়ের কথা ভাবতে চান না। নিজের ইচ্ছে কখনই সঙ্গীর উপর চাপিয়ে দেবেন না। এতে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।

৪. আবেগের একটা সম্পর্ক সবে শুরু হচ্ছে। এর মধ্যেই অনেকে সেই সম্পর্কের প্রচার করতে শুরু করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই সমস্যা বেশ গুরুতর। কারণ সম্পর্ক তেমন পোক্ত না হলে অনেকেই তা সকলকে জানাতে চান না।

৫. মানুষ নিজেকে জাহির করতে ভালবাসে। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। উলটোদিকের মানুষের কাছে নিজেকে বিশেষ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে মানুষ নিজেকেই আরও খাটো করে থাকে। দেখনদারি মেয়েরা একদম পছন্দ করে না।

৬. কেবল ভালবাসলেই হয় না, নিজের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হতে হয়। তবে অনেকক্ষেত্রে ছেলেরা প্রেমিকার সবকিছুতে নাক গলাতে শুরু করেন। তাঁর জীবনের সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এখানেই সম্পর্ক শেষ হতে শুরু করে।