সেক্স ডলের সঙ্গে সংসার এ যুবকের অতঃপর!

প্রেম মানুষের জীবনের এক অনবদ্য অধ্যায়। কারও জীবন কেটে যায় এক প্রেমে, কারো জীবনে আসে একাধিক। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রেমের আগমন শত চাইলেও বুঝি ঠেকানো যায় না। আর এই প্রেম বলতে আমরা স্বভাবতই দুজন নর-নরীর প্রেমকে বুঝি। কিন্তু সেনজি নাকাজিমা নামে ৬০ বছরের এক জাপানের নাগরিক প্রেমে পড়েছিলেন এক সেক্স ডলের।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, সেনজি ভালোবেসে তার প্রেমিকার নাম দিয়েছেন সাওরি। সাত বছর আগে সাওরিকে কিনে আনেন সেনজি। তখন তার স্ত্রী কাজের প্রয়োজনে তার সঙ্গে থাকতেন না। অবশ্য সাওরির সঙ্গে তখন শুধু যৌনকর্মটাই মুখ্য ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন সেনজি।

বর্তমানে একটি এপার্টমেন্টে সাওরিকে নিয়ে থাকেন সেনজি। পুতুলটিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তিনি। তাই হুইল চেয়ারে করে ঘুরে বেড়ান মন মতো জায়গায়। তাকে নিয়েই শপিংয়ে যান, বেড়াতে যান৷ মাঝে মধ্যে নৌকা ভ্রমণও করে থাকেন।নিজের সেক্স ডল নিয়ে সমুদ্রস্নানে সেনজি

সেনজি বলেন, সাওরি কখনোই ধোঁকা দিবে না। সাওরির ভালবাসাই একমাত্র সত্যি পৃথিবীতে। কারণ সে কখনও তার পয়সার পিছনে ছুটবে না। তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানের যৌক্তিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিরক্ত। তারা হৃদয়হীন হয়ে থাকে।

সাওরি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য সে কোনো সিলিকনের পুতুল নয়। রক্তমাংসের স্ত্রীর মতো ঝগড়াও করবে না সে। যা বলবো তাই সাওরি শুনবে। ‌তিনি আরও বলেন, ‘সাওরির অনেক সাহায্যের দরকার। তবে সে এখন আমার জন্য সেরা জীবনসঙ্গী, যে আমার জীবনকে উন্নত করেছে।’

তবে শুধু সেনজিই নয়, এর আগে রোবটকে বিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন চীনের জিজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা ঝেং জিয়াজিয়া (৩১)। পেশায় রোবট বিশেষজ্ঞ ঝেং বছরখানেক আগে রোবটটি তৈরি করেন। ঠিক মানুষের মতো দেখতে সুন্দরী রোবটটির নাম দেন ইংইং। বুদ্ধিমতী ইংইং কিছু চীনা অক্ষরও পড়তে পারে।সাওরিকে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন সেনজি

বর্তমানে বিশ্বের অনেকে দেশেই সেক্স রোবট বা সেক্স ডলের চাহিদা বাড়ছে। উন্নত হচ্ছে এই প্রযুক্তিও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড লেভি তার ‘লাভ অ্যান্ড সেক্স উইদ রোবটস’ বইতে লিখেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যেই বিয়ে করার উপযোগী রোবট তৈরি করা সম্ভব হবে। তার কথার ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে, যৌনতা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন একটি বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে আমরা।সেক্স ডলের সঙ্গে চকোলেট স্টিক ভাগাভাগি

অবশ্য যৌনতার ক্ষেত্রে মানুষ রোবটনির্ভর হয়ে পড়লে ভবিষ্যতে তার কী প্রভাব পড়তে পারে- এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকে। বর্তমানে বিয়ে এবং যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে জাপানের মানুষ। এতে দেশটিতে মারাত্মক জনসংখ্যা সংকট তৈরি হয়েছে। কর্মক্ষম লোকের অভাবে ভুগছে দেশটির সরকার।সাওরিকে নিয়ে সেনজির শয্যাবাস

তাছাড়া কোনও জড়বস্তুর প্রতি দৈহিক আকর্ষণ বা ভালোবাসা কিংবা অনুরাগকে এক ধরনের অটিজম হিসেবে দেখেন মনোবিজ্ঞানী এবং যৌন বিশেষজ্ঞরা। এই মানসিক সমস্যাকে তারা বলেন, ‘অবজেকটোফিলিয়া’। অনেক গবেষক একে বলেন- ‘অবজেক্ট সেক্সুয়ালিটি’ (Object sexuality)। তাদের মতে, কোনো জড়বস্তু, ভাস্কর্য বা মূর্তির প্রতি প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, অনুরাগ বা শারীরিক আকর্ষণ- এর সবই অবজেকটোফি