দিন যত যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে ততই বেড়ে চলেছে হার্টের রোগ। সাধারণত জেনেটিক বা বংশগত, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, দুশ্চিন্তা, ধূমপান ইত্যাদি কারণেই হার্টের রোগ হয়।
বংশগত কারণ ছাড়া বাকিগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে কিংবা পরিবর্তন করে হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
১. ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার
ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফলমূল হচ্ছে: কমলালেবু, পেঁপে, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, আঙ্গুর ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
২. খাবার তালিকায় মাছ যোগ করুন
মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় যা খেলে হার্টের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসে। পাশাপাশি এই এসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৩. রান্নায় সঠিক তেলের ব্যবহার
হার্টের সুস্থতায় রান্নার তেল নির্বাচনের সময় সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। রান্নায় অলিভ ওয়েল বা বাদাম তেল ব্যবহার করা ভালো। ভেজিটেবল ওয়েলও হার্টের জন্য ভালো।
৪. ফলমূল ও সবুজ শাক-সবজি
নিয়মিত ফলমূল ও সবুজ শাক-সবজি খেলে হার্ট ভালো থাকে। বিশেষ করে, তাজা ফলের রস হার্টের জন্য খুবই ভালো। সবুজ শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক, লাউ, কুমড়া, গাজর, বিট, বাঁধাকপি, ভুট্টা, লাল আলু ইত্যাদি হার্টের জন্য বেশ উপকারী।
৫. আদা, রসুন ও হলুদ
রান্নার সময় মসলা হিসেবে আদা, রসুন ও হলুদ ব্যবহার করুন। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।