মিথিলা এই টিভিতে তো ওই রেডিওতে। আজ দেখা গেল দেশে, তো কাল ভিনদেশে। রীতিমতো উড়ে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তবে এত ওড়াউড়ির পরও মন কিন্তু তাঁর পড়ে থাকে মেয়ে আয়রার কাছেই। গত মঙ্গলবার ছিলেন কক্সবাজারে। বুধবার আছেন ঢাকায়। মেয়েকে নিয়ে ঈদ কাটানোর পর গিয়েছিলেন কক্সবাজারের কয়েকটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে। সেখান থেকে ফিরে এসে আজ ইতি টানতে যাচ্ছেন রেডিও শো ‘বেড়ে ওঠার গল্প’র। তাই শেষ পর্ব প্রচারের আগে মিথিলা কথা বললেন তাঁর রেডিও শো, টিভিতে অভিনয় ও মেয়ে আয়রাকে ঘেরা পৃথিবী নিয়ে।
ঈদের নাটকগুলো থেকে কেমন সাড়া পেলেন?
‘নীরার নীল আকাশ’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম এবার। তানিম পারভেজের ওই নাটকে আমি একটু আলাদা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এ কারণে নাটকটি থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। তা ছাড়া ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নামের একটি ঈদ ধারাবাহিকেও কাজ করেছি। রোমকম (রোমান্টিক-কমেডি) হওয়ায় এটিও অনেকে উপভোগ করেছেন। অনেক আগে কাজ করা একটি নাটক থেকেও খুব সাড়া পেয়েছি এবার। নাটকটি হলো ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে’। আমি জানতামও না যে এটা এবার ঈদে দেখানো হয়েছে। দর্শকদের কাছ থেকে জেনেছি খবরটা!
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করলেন। সেখানকার অবস্থা কেমন দেখলেন?
আমি ব্র্যাকে কাজ করি। তাই সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাকের সাপোর্ট সেন্টারগুলো পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষদের যে মানবেতর জীবন দেখলাম, তা আসলে কথায় বোঝানোর মতো নয়। খুবই কষ্টের জীবন। আমি যেহেতু ব্র্যাকের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করছি, তাই মূলত চাইল্ড সাপোর্ট-এর দিকটাই পরিদর্শন করেছি। ইতিবাচক ব্যাপার হলো, যতটা দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে শিশুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছিল, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সাহায্যে সেই ট্রমা তারা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে।
আজ তো আপনার রেডিও শো ‘বেড়ে ওঠার গল্প’ শেষ হচ্ছে। কী পরিকল্পনা শেষ পর্বটি নিয়ে?
আজকের পর্বে আমি গত ১২টি পর্বের একটা সারমর্ম তুলে ধরতে চাই। যেন শ্রোতারা আমার পুরো অনুষ্ঠানের একটা ধারণা পান। রেডিও স্বাধীনে সকাল আটটায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। শেষ পর্বে আমার সঙ্গে অতিথি থাকবেন ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর আসিফ সালেহ। তা ছাড়া অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব প্রচার হলেও আদতে এখানেই শেষ নয়। এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব শ্রোতারা ইউটিউবে অনুষ্ঠানের নাম লিখে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। বেড়ে ওঠার গল্প নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আমাদের এখানে মা-বাবারা তো কোনো আলাদা পড়াশোনা করেন না ছেলেমেয়ের লালন-পালনের জন্য। তাই এ বিষয়ে অনেক কিছু জানার আছে আমাদের।
মিথিলার সবচেয়ে বাজে অভ্যাস…
আমি অনেক কাজের চাপ নিয়ে নিই। এরপর সেটা নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে থাকি।
অতীতের একটা সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ হলে কোন সময়ে যেতে চান?
একদম স্কুলবেলায়। যেন নিশ্চিন্তে অনেক অনেক গল্পের বই পড়তে পারি।
পড়াশোনা করে গোল্ড মেডেল পাওয়া, নাকি মা হওয়া-কোনটা বেশি কঠিন?
অবশ্যই মা হওয়া। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু সুখকর দায়িত্ব।