হবু জামাই হোন বা বিয়ের পরে জামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই যান, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে কখনোই সরাসরি দেয়া উচিত নয়। জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন।
শ্বশুরের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ঠিক মতো প্ল্যান করে তৈরি হয়নি বা কোনো সমস্যা আছে মনে হলেও তা বলা যাবে না। মনে রাখবেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা তার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বা ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। সুতরাং তাদের পরিশ্রম বা কষ্টকে অসম্মান করবেন না।
আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকম অভিযোগ করতে যাবেন না শ্বশুরের কাছে। মনে রাখতে হবে নিজের মেয়ের প্রতি প্রত্যেক বাবারই স্নেহ থাকে অনেক। মেয়ের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ বাবা শুনতে চাইবেন না।
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খেতে বসে খাবারের স্বাদ নিয়ে কিছু বলবেন না। কারণ তাতে যেমন শাশুড়ির খারাপ লাগতে পারে, তেমন খাবারের উপাদান নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে রেগে যেতে পারেন শ্বশুর। মনে রাখতে হবে, জামাইয়ের জন্য সেরা মাছ, সেরা সবজি, সেরা মিষ্টি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন শ্বশুরেরা। তাই এ বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।
বিয়ের আগে মেয়ে জামাই কি রকম বেতন পায় তার একটা ধারণা নিয়েই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন বাবা মা । তবুও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা না বলাই ভাল। কারণ আপনি যতই রোজগার করুন আপনার শ্বশুরের কাছে সেটা কম লাগতেই পারে।
বিয়ের পর এই পরামর্শ গুলো অবশ্য সাধারণ ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। যদিও এর থেকে হয়তো অনেক গম্ভীর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি। তবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি যদি জামাইকে নিজের ছেলের মতো মনে করেন, তাহলে তো কথাই আলাদা। তখন স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরও হবে অন্যরকম!