তরুণদের আলস্য থেকে বেরিয়ে আসার ৭ উপায়

প্রায় সারা বিশ্বেই আজকের তরুণরা দিনের বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় খরচ করে অলস ও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে৷ তরুণদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার কিছু উপায় পাবেন আজকের প্রতিবেদনে।

মোবাইল বা আইপ্যাড ছাড়া শিশু-কিশোররা ভালো ঘুমায়
স্মার্টফোন, আইপ্যাড ছাড়া যেন শিশু-কিশোরদের চলেই না৷ মোট ১২৫,০০০ শিশু-কিশোরকে নিয়ে ২০টি সমীক্ষা করা হয় ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ঘুমের আগে পিসি বা ফোনের ডিসপ্লের আলো ঘুমের হরমোনকে ছড়িয়ে দিতে বাধা সৃষ্টি করে৷ তাই বাবা মা’দের প্রতি গবেষক প্রধানের পরামর্শ, ‘ঘুমের আগে যেন তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা হয়৷ কারণ শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই৷’

ডিজিটাল ডায়েট
শিশু-কিশোরদের নিয়ে জার্মানির টেশনিকার স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে শতকরা ১৭ জনই স্বীকার করেছে, দিনে কয়েক ঘণ্টা অনলাইন থেকে দূরে থাকলে ওদের কিছু একটা হারিয়ে যাওয়ার মতো ভয় হয়, যে অনুভূতি দিন দিন বাড়ছে৷ সমাজের এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে তরুণদের প্রতি জার্মানির মোটিভেশন ট্রেনার গাব্রিয়েলে ভিনকে-র পরামর্শ ‘ডিজিটাল ডায়েট’, অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে৷

শরীরচর্চা
সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ধীরে ধীরে তরুণরা যেভাবে আকৃষ্ট হয়েছে ঠিক সেভাবেই আস্তে আস্তে কমাতে হবে৷ একেবারে বাদ দেওয়ার কথা কিন্তু এখানে কেউ বলছেন না, কাজেই ভয় নেই! আর এর প্রথম পদক্ষেপ বা লক্ষ্য হবে খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করা৷ কাজেই আর দেরি নয়, উপযুক্ত জুতো পরে নিন৷

মাত্র ১০ মিনিট
দিনের অনেকটা সময় কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে কাটানোর ফলে শরীর কেমন ম্যাজম্যাজ করে কিংবা অনেকদিন শরীরচর্চা না করায় কেমন এক অলসতা পেয়ে বসেছে৷ তাই প্রথমদিন বেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট হাঁটুন বা দৌড়াদৌড়ি করুন৷ ভালো লাগলে সময়সীমা বাড়িয়ে দিন৷

সময়সূচি তৈরি করে নিন
দরকারী কাজের তালিকা করে ফেলুন৷ তারপর দুপুরে বন্ধুদের সাথে ফোনে কথা বলা বা আড্ডায় যাওয়ার সময়ের তালিকায় শরীরচর্চা লিখে ফেলুন৷ শুধু তাই নয়, বন্ধুরা – যারা কাছাকাছি থাকে তাদের সাথে ফেসবুক চ্যাট না করে ওদের সাথে নিয়ে যান৷ কিংবা বা একেকবার একেক বন্ধুকে নিয়ে মুক্ত হাওয়ায় খেলাধুলা বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, অবশ্যই আনন্দ হবে৷

ধৈর্য!
বৃষ্টি, আবহাওয়া খারাপ, যেতে ইচ্ছে করছেনা বা সময় নেই-এর মতো কোনো অজুহাত চলবে না কিন্তু! লম্বা দিনের মাত্র কয়েকটা মিনিট বা ঘন্টাখানেক সময় নিজের শরীরে জন্য খরচ করুন৷ মাসখানেক পর দেখবেন ধীরে ধীরে আনন্দ পাচ্ছেন৷ এভাবেই একসময় সোশ্যাল মিডিয়ার আগ্রহ খানিকটা কমে যাবে এবং ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই নিজে বেরিয়ে এসেছেন৷ তখন টেরই পাবেন না যে অলসতা কোথায় পালিয়ে গেছে !

নিজেকে পুরস্কার দিন
মোটিভেশন ট্রেনার গাব্রিয়েলে ভিনকে জানান, কিছুদিন এভাবে চলার পর দেখবেন শারীরিক ফিটনেস ফিরে আসার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও ফিরে এসেছে৷ এবার নিজের সাফল্যের জন্য নিজেকেই পুরস্কৃত করতে পারেন৷ খুব আনন্দ করে এক গ্লাস গরম চকলেট ড্রিঙ্ক পান করে কিংবা বিশাল একটি হ্যামবার্গার অথবা চারটে পছন্দের রসগোল্লা বা মিষ্টি খেয়ে৷