অনেকেই মনে করেন রাইস কুকার শুধু ভাত রান্নার কাজেই ব্যবহৃত হয়। আসলে কিন্তু তা নয়। নামে রাইস কুকার হলেও রান্নার ক্ষেত্রে মোটামুটি সব রকম পদই রান্না করা যায় এই রাইস কুকারে। পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানি তো আছেই, কেক, মিষ্টি এমনকি মাছ-মাংসও রান্না করতে পারবেন রাইস কুকারে। চলুন জেনে নেই রাইস কুকারে ভাত ছাড়াও অন্যান্য খাবার কিভাবে রান্না করবেন।
রাইস কুকারে বানাতে পারেন কেক। রেসিপি অনুযায়ী কেকের ব্যাটার তৈরি করে, কুকারের প্যানে তেল ব্রাশ করে অন করে দিন। অথবা একটি গরম পাতিল রাখার স্ট্যান্ড বা জালি ভিতরে দিয়ে কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে ৫মিনিট গরম করে কেকের মিশ্রণ দিন। কেকের পরিমাণের উপর সময় নির্ভর করবে।
সকালের নাস্তার জন্য ডিমের ওমলেট বানতে পারেন। ডিমের সাথে সবজি, পেঁয়াজ কুচি, সব মশলা দিয়ে ফেটে নিন। রাইস কুকারে তেল দিয়ে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে অন করুন। পাঁচ মিনিটেই তৈরি ডিমের ওমলেট।
ঝরঝরে পোলাও রান্না করা যায় রাইস কুকারে। কুকারের ঢাকনা খোলা অবস্থায় ভেতরের প্যানে তেল দিয়ে কুকার চালু করুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, গরম মশলা ও পোলাওর চাল দিয়ে ভাজুন। এরপর মেপে পানি দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। পোলাও যখন প্রায় হয়ে আসবে তখন রাইস কুকারের হলুদ বাতি অন করে দিন।
সবজি সেদ্ধ করা যায় অনায়াসে রাইস কুকারে। অনেক রাইস কুকারে উপরে স্টিমার থাকে, সেক্ষেত্রে পানি গরম করে উপরের স্টিম করার পাত্রে সবজি দিয়ে কুকার চালু করুন। সবজি অনুযায়ী সময় লাগবে।
রান্নার গ্যাসের সংকট হলে সবজির তরকারি, মাংস রান্না করতে পারবেন। রাইস কুকারে রান্না তরকারির স্বাদও ভালো হয়। তবে তরকারী রান্নার সময় ঝোলের বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। সবজি বা মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে পছন্দ অনুযায়ী ঝোল থাকতে কুকার বন্ধ করে দিতে হবে।
রাইস কুকারে পোলাওর মতো করে খিচুড়ি রান্না করা যায়। নরম বা ঝরঝরে যা ইচ্ছা।
চুলায় বিরিয়ানির মাংস ও চাল রান্না করে রাইস কুকারে দমে দিন। আলাদা করে বারবার গরম করার ঝামেলা করতে হবে না।
নুডলস, পাস্তা সেদ্ধ করা যায়। চিজি পাস্তা রান্নাও করা যায়।
চিকেন বা বিফ স্টক করা যায়। স্যুপও রান্না করা খুব সহজ রাইস কুকারে।
মুরগির রোস্টও করা যায় রাইস কুকারে। সব উপকরণ মেখে ম্যারিনেট করে রাখুন ৩০ মিনিট। তারপর অল্প পানি দিয়ে রাইস কুকারে রান্না করুন। পানি টেনে মুরগি সেদ্ধ হয়ে এলে হলুদ বাতি জ্বালিয়ে দিন। মাঝে মাঝে উল্টে দিন। ভাজা ভাজা হয়ে আসলে নামিয়ে নিন।