যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধে এশিয়ার দিকে নজর চীনের। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচ দেশ থেকে পশুখাদ্য আমদানিতে শুল্ক বাতিল করেছে দেশটি। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কা থেকে সয়াবিন, সয়মিল, সয়বিন কেক, র্যাপসিড এবং মত্স্য খাদ্য আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলো। এ ঘোষণা কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।
চীনে সয়াবিন প্রবেশে ৩ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এছাড়া র্যাপসিডে ৯ শতাংশ, সয়াবিন মিল ও কেকে ৫ শতাংশ এবং মত্স্য খাদ্যে ২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি মূল্যের কৃষিপণ্য হিসেবে সয়াবিন আমদানি করে চীন। তবে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ার দিকে ঝুঁকলো চীন। এশিয়ায় এ শুল্ক ছাড়ের অর্থ হচ্ছে চীন সয়াবিন আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমানো।
এদিকে শুল্ক ছাড় পাওয়া পাঁচটি দেশ মধ্যে ভারত ছাড়া সব দেশই অল্প পরিমাণে সয়াবিন উৎপাদন করে। ২০১৭ সালে এ দেশগুলোর কোনোটিই চীনে কোনো ধরনের তৈলবীজ রফতনি করেনি।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডে স্বাক্ষরিত এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী চীন দুই হাজারেরও অধিক পণ্যে শুল্ক ছাড়ে সম্মত হয়। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় গত মার্চে জানিয়ে, এ বছর ১ জুলাই থেকে শুল্ক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা।