বিয়ের পর যেসব সমস্যা বলতে চান না নারীরা!

বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন, যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়। শারীরিক সম্পর্ক নারী-পুরুষের সম্পর্ককে আরও গভীর করে। সবার মধ্যে একটি ধারণা বদ্ধমূল রয়েছে আর সেটি হচ্ছে-সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে শারীরিক সম্পর্ক অত্যাবশ্যক? না-হলে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যায়?

শারীরিক সম্পর্ক যে দুটি মানুষের মধ্যে হচ্ছে তাদের উভয়কেই একে অপরের সঙ্গে মিলিত হবার ইচ্ছা এবং সম্মতি থাকতে হবে। এটি কারও উপর চাপিয়ে দেয়া যাবেনা। যদি আপনি আপনার সঙ্গীর ওপর অথবা সে আপনার ওপর মানসিক বা শারীরিক চাপ প্রয়োগ করে তবে সেখান থেকে আপনার দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে।

এদিকে দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে শরীরে অনেক সমস্যা হয় নারীদের। তবে বেশিরভাগ নারীই লজ্জায় এ ব্যাপারগুলো কাউকে বলেন না! নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেক নারীই হয়তো লজ্জায় কাউকে বলেন না বা চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না।

শারীরিক সম্পর্কের ফলে শরীর, হাত-পা, কোমর ও যৌনাঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে। তবে কম বয়সে যেসব নারীর বিয়ে হয়, তাদের ক্ষেত্রে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে অনেক নারী জানে না এটি একটি সমস্যা। শারীরিক সমস্যার কথা মেয়েরা কিছুতেই তার সঙ্গীকে বলতে চান না। তারা মনে করেন, ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার কথা সঙ্গীকে বললে, তাদের অকারণে বিব্রত করা হবে।

আসুন জেনে নিই দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে যেসব সমস্যা লুকিয়ে রাখেন নারীরা।

শরীর ব্যথা

শারীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে শরীর, হাত-পা, কোমর ও যৌনাঙ্গ ব্যথা হতে পারে। শারীরিক সম্পর্কের সময়ে যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল না হয়, তা হলে ভেতরে আঘাত পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এক্ষেত্রে ছিলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।

ইনফেকশন

যৌনাঙ্গে কোনো ধরনের ইনফেকশন থাকলে সেক্সের সময়ে ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। সাধারণ ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনো ইনফেকশনের কারণে এমনটি হয়ে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন। যৌনাঙ্গ সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। নিজের যত্ন নিন।

শারীরিক চাহিদা

যৌনতা সম্পর্কে মেয়েরা চিরকালই একটি লাজুক। অনেক মেয়েই তার সঙ্গীর কাছ থেকে চাহিদামতো শারীরিক সুখ পান না। তবু তারা এ বিষয়টি নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে পরামর্শ করতে চান না।

সন্তান

পরিবারের ছোটখাটো সমস্যার কথা মেয়েরা তার সঙ্গীকে জানাতে চান না। যদি তার সন্তানের বিষয়েও কোনো সমস্যা হয়, তা হলেও তারা নিজেরাই সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে তারা তার স্বামী বা সঙ্গীকেও পাশে পেতে চান।