বেদানা

বেদানা কার না প্রিয়। ক্লান্তি মেটাতে এক গ্লাস বেদানার জুস সবারই পছন্দ। সেই সাথে বেদানার রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণাবলি। চলুন জেনে নিই বেদানার উপকারিতা।

l ডায়েরিয়ার সমস্যায় বেদানা খুবই উপকারী। দিনে দুই তিন বার বেদানার জুস খেতে পারলে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া যায়।

l শীতের সময় জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি থেকে বাঁচার জন্য বেদানার জুস খেতে পারেন।

l অজীর্ণ রোগের উপশমে বেদানার রস উপকারী।

l বমিভাব দূর করতে হলে মধু ও বেদানার রস সম পরিমাণে মিশিয়ে পান করুন।

l বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যার ফলে আপনার শরীরের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

l হার্টে অক্সিজেন সরবরাহে ও রক্ত চলাচল ভালো রাখতে বেদানার রস উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, তিন মাস প্রতিদিন এক কাপ করে বেদানার রস খেলে হার্টের মাসলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।

l ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-সি, সাইট্রিক অ্যাসিড ট্যানিন-সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

l প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেদানার রস উপকারী।

l গর্ভবতী নারীরা চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে বেদানা খেতে পারেন। এতে শরীরে রক্ত-সঞ্চালন বাড়ে এবং শিশুর ব্রেইনে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

l গলাব্যথা কমাতেও বেদানার জুস খেতে পারেন।

l এক কাপ বেদানার জুসে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর চাঙা থাকে।

l একটা বেদানায় রয়েছে ১০৫ গ্রাম ক্যালরি, ১২৪ গ্রাম পানি, ১.৪৬ গ্রাম প্রোটিন, ৩৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৯.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

ম নে রা খু ন

l আপনি নিয়মিত কোনো ওষুধ খেলে বেদানা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

l বেদানা কেনার সময় ভারী ও দাগবিহীন বেদানা কিনবেন।

l বেদানার জুস জামাকাপড়ে ফেলবেন না। দাগ হয়ে যাবে।

l বেদানার জুস তৈরি করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলুন, বেশিক্ষণ রাখবেন না।