কৃষি পণ্য রপ্তানি বাড়ছে

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি। শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত জুলাই- মে সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। মোট আয় ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। দেশি মুদ্রায় পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে চা, সবজি, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবার ইত্যাদি। এর মধ্যে ১১ মাসে চা ও সবজি বাদে অন্যান্য সবগুলো উপখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে।

ইপিবির তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি তিন লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ২০১৬-১৭ প্রথম ১১ মাসে এ খাতের আয় ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। গেল ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

এদিকে এ খাতের পণ্যের মধ্যে চা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। দিন দিন পণ্যটির রপ্তানির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও ৪১ দশমিক ০৩ শতাংশ আয় কমেছে। গেল অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রপ্তানি হয়েছিল ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের।

জুলাই-মে মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে ৭ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আয় হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল সাত কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।

গত জুলাই-মে মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই- মে মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

এছাড়া এ সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে চার কোটি ছয় লাখ ডলার, শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার, তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার আয় হয়েছে।