আম অনেক উপকারী একটি ফল। আমের এই মৌসুমে নিয়মিত আম খেলে অনেক রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পাবেন, সন্দেহ নেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে :
আমে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটেনয়েড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটা।
হজমে সহায়ক আম :
আমে বিদ্যমান বিশেষ ধরনের এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
অ্যাজমা প্রতিরোধ করতে :
আমে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাজমা প্রতিরোধে দারুণ সহায়ক ।
ক্যানসার প্রতিরোধে :
কুয়েরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগেলিন ফিসেটিন, ফলিক অ্যাসিড, মাথাইল গ্যালেট প্রভৃতি উপাদান রয়েছে আমে। এ উপাদানগুলেো কোলোন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী আম :
আমের মধ্যে থাকা আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে, গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে :
আমে আছে ভিটামিন-এ, যা আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাবে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে :
আমে বিদ্যমান ফাইবার, পেকটিন এবং ভিটামিন সি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ত্বকের যত্নে :
সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করলে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। এতে ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।