ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছে যৌনব্যবসাও। দেশটিতে এই ব্যবসা অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। তা সেটা হোক কোনো অভিজাত এপার্টমেন্টে বা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশটিতে যৌন ব্যবসায় জড়িতের বিরাট একটি অংশ নাইজেরিয়ান।
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পাচারকারিরা সুবিধা নিতে চেষ্টা করতে পারে এজন্য ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে।
রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে যারা যৌন পেশায় নামেন তাদেন জীবনযাপন খুব কষ্টের। এছাড়া তারা নানা ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখন চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।
বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।
১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।