প্রথম পরিচয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নিন ৫ উপায়ে

নিজের এমন কিছু ইতিবাচক আচরণ আছে যা প্রকাশ করলে প্রথম পরিচয়েই সঙ্গীর মনে দাগ কাটাতে সক্ষম হবেন। শুধু জীবন সঙ্গীই নয়, আপনার ক্যারিয়ার উন্নতির জন্য ‍কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে তাদের কাছে আপন হয়ে উঠতে পারেন আপনার নিজের ভালো উপস্থাপনের জন্য।

সুতরাং প্রথম পরিচয় দিয়েই কিভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নিবেন তার কিছু উপায় দেখে নিন-

১) সহজভাবে উপস্থাপন

প্রথম পরিচয়ে কারো সঙ্গে কোনও গুরুগম্ভীর ও বিতর্কিত বিষয়ে আলাপ করবেন না। কেননা সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তি কখনই কঠিন কিছু আশা করবেন না। কোনোক্রমে আপনি যদি তার বিপরীত মতাদর্শের কেউ হয়ে থাকেন তবে আপনাকে তিনি এড়িয়ে চলবেন। কাজেই অপেক্ষাকৃত সহজ ও সর্বজনগ্রাহ্য বিষয়ে আলাপ করুন।

২) কৃত্রিম আচরণ নয়

নতুন কোনও মানুষের সঙ্গে পরিচয় হলে অনেকের মধ্যে নিজেকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপনের একটি প্রবণতা কাজ করে। নিজের যা নেই বা নিজে যা নয়, এমন বিষয়ও নিজের বলে জাহির করেন। যা একেবারেই একটি ঘৃণ্যতম কাজ। তারা ভাবেন নিজের সম্বন্ধে বাড়িয়ে বললে সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তির কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে। কিন্তু আদতে তা নয়। বাস্তবতা হল, এমন আচরণ যে কৃত্রিম তা খুব সহজেই মানুষ বুঝতে পারে। এতে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবার বদলে সদ্য পরিচিত হওয়া মানুষটি আপনার প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠতে পারেন। সুতরাং এমন কৃত্রিম আচরণ নয়, বরং অকৃত্রিম হয়ে উঠুন।

৩) বিব্রতকর প্রশ্ন নয়

নতুন পরিচয় হওয়ার সময় প্রায়ই ভুলে যাওয়া হয় যে, আপত্তিকর বা বিব্রতকর প্রশ্ন কোনটা! যেমন তরুণ বা তরুণী হলে হরহামেশাই জিজ্ঞাসা করে বসি, আপনার বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড আছে? প্রথম পরিচয়ে এসব প্রশ্ন করলে একমাত্র ব্যক্তিত্বহীন কেউ ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই বিব্রত হয়। আর যদি কেউ পরিস্থিতি সামলে হাসি মুখে এমন বিব্রতকর প্রশ্নের উত্তর দেয়, তবে জেনে রাখুন সেই উত্তর মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার প্রথম পরিচয়ে আলাপের এক পর্যায়ে কারো সেলারি বা বয়স জানতে চাওয়া আরও বেশি বিব্রতকর। সুতরাং প্রথম পরিচয়ে কখনো আপত্তিকর বা বিব্রতকর কোন প্রশ্ন নয়, বরং এমন প্রশ্ন করুন যাতে তিনি আলাপ এগিয়ে নিতে উৎসাহ পান।

৪) মনোযোগ দিয়ে কথা বলুন ও শুনুন

নতুন কারো সঙ্গে কথা বলার সময় তার দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। প্রথম দিনে এমন কোন চমকলাগা কথা বলবেন না যে তিনি ভীষণ অবাক হয়ে যাবেন। এরপর তার কথা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আর আপনার পরবর্তী কথা সে অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। তার স্বাধীন কথায় বাধ সাধবেন না। আলাপচারিতা প্রাণবন্ত করে তুলুন। নিজের কথা বলার জন্য ব্যাকুল হবেন না, বরং তার কথায় দেওয়া গুরুত্ব তার কাছে আপনাকে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

৫) মিষ্টি হাসি

প্রথম পরিচয়ের ক্ষেত্রে মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে একটা মিষ্টি হাসি। একটি চমৎকার স্মিত হাসি হাজার কথার চেয়েও মধুর। তাই কথা বলার সময় একটা অকৃত্রিম হাসি চোখে মুখে ফুটিয়ে তুলুন। মানুষ অনুকরণ প্রিয়। তাই আপনার হাসি মুখ সামনের মানুষটির মুখেও হাসি ফুটিয়ে তুলবে যা আলাপ করে তুলবে আরও প্রাণবন্ত।