তুমি বরং একটা বিয়ে করে নাও, আমার মৃত্যুর আগেই, প্লিজ

ক্যান্সার আক্রান্ত ‘মেয়েটি’ তার প্রেমিককে বলেছিলো”—– “আমিতো ‘মরে’ যাবো”। “কিন্তু, তোমাকে “ভালবাসবে কে,,??

“কে দেখে রাখবে,,? “কে তোমায় “শাসন করবে,,??।। “ঝগড়া করবে কার সাথে,,??।। “তোমার তো রাত জাগার স্বভাব”। “না খেয়ে থাকার বদ অভ্যাস”। “কে তোমাকে বকা দিয়ে খাওয়াবে,,??।। “কে ‘গান শুনিয়ে ঘুম’ পাড়াবে,??।।

“তুমি বরং একটা ‘বিয়ে’ করে নাও”। “আমার মৃত্যুর আগেই প্লিজ”। “আমি অন্তত দেখে যেতে চাই”—- “তুমি ভালো থাকবে”, “আমি না থাকলেও”।

“ছেলেটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে, “মেয়েটিকে বুকে ‘জড়িয়ে’ ধরে বলেছিলো”—– “চুপ একদম চুপ”।

“তোমার কিচ্ছু হবেনা”। “তুমি ছাড়া আমি আর কারও হতে পারিনা”। ” হবোনা কোনদিন”। “আমি তোমাকেই “ভালবাসি”।

” তুমিই আমার “পাগলী”। “তুমি ‘মরবে না”।

“মরতে পারোনা”। “স্রষ্টা এমন করতে পারেনা”। “মেয়েটির চোখ বেয়ে “অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে”। “বুকের কষ্ট গুলো ছাঁইচাপা আগুনের মত ফুঁসে উঠেছে”।

“এমন “ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে যেতে হবে,,??।। ‘“মেয়েটি বললো জানো”—- “আমার অন্ধকারে খুব ‘ভয় লাগে”। “অথচ দেখো কদিন পর চিরস্থায়ী অন্ধকারে থাকতে হবে”।

“বলোনা কি করে থাকবো,,??।। “খুব ইচ্ছে করছে তোমার বুকে মাথা রেখে, “সারাজীবন আলোয় থাকতে”। “ছেলেটির চোখে মুখে ‘অশ্রুজলে’ মাখামাখি”।“দুইজন দুজনকে বুকের মাঝে ‘জড়িয়ে কেদে যাচ্ছে নিরবে”।
[গল্পটি লিখেছেন সানজিদা আহমেদ]