গরম খাবারের তালিকায় অবশ্যই যেন থাকে টক দই ৷ টক দইয়ের অনেক গুণ ৷ সুস্থ থাকতে প্রতিদিনই খাওয়া উচিৎ টক দই ৷ সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, টক দই রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএল বা ভিএলডিএল কমাতে সাহায্য করে। এতে যারা ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, টক দই তাদের জন্য সাহায্যকারী বন্ধুর মতো কাজ করবে। তাদের নিয়মিতভাবে অবশ্যই দৈনিক এক কাপ টক দই খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
টক দই ঘরে পাতা হলেই সবচেয়ে ভালো। গ্রীষ্মকালে দেহের জন্য অন্যতম আদর্শ খাদ্য টক দই। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে ভিটামিন ‘সি’ বাদে সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, উচ্চ মানের প্রোটিন, ফ্যাট এবং ল্যাকটোজ নামক কার্বোহাইড্রেট থাকে। অনেকের দুধ খেলে সহজে হজম হয় না, তাদের জন্য টক দই উপযুক্ত। জেনে নিন টক দইয়ের ১০ টি গুণ ৷
১. এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে
গরমে রোজ খান টক দই !
২. টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে
৩. এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যানসারের রোগীদের জন্য উপকারী ৷
৪. দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক ৷ তাই এটি পাকস্থলী জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ৷
৫. এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম,ভিটামিন বি৬ , বি ফাইভ ও ভিটামিন বি ১২ থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার ৷
৬. এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে
৭. তাই বাতের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পান
৮. কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায় ৷ যাদের দুধ সহ্য হয় না ৷ তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন ৷
৯. এর আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়| তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন ৷
১০. টক দই রক্ত শোধন করে ৷