অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দুর্ভোগ কমাতে অনলাইনে পেনশন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক ক্যাশ ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পেনশনের টাকা সরাসরি উপকারভোগীদেরে অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৮-১৯ অর্থবছর) অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পেনশন প্রক্রিয়া ও পেনশনের আওতার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে। অবসরকালে সরকারি কর্মচারীদের নিরবচ্ছিন্ন আয় প্রবাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শতভাগ নগদায়ন প্রথা রহিত করা হয়েছে। একইভাবে এ আয়কে মূল্যস্ফীতির প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য পেনশনের ক্ষেত্রেও ইনক্রিমেন্ট প্রথা চালু করা হয়েছে।
‘শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মৃত্যুর পর তাদের স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সন্তানকে আজীবন এবং বিপত্নীক স্বামীকে সর্বাধিক ১৫ বছর মাসিক চিকিৎসা ভাতা ও বছরে দুটি উৎসব ভাতা দেয়ার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। পেনশনভোগীদের হয়রানি কমাতে পেনশন দেয়ার প্রক্রিয়াও সহজ করা হচ্ছে। ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পেনশন দেয়া হবে।
এ কার্যক্রম পাইলট আকারে চালু হয়েছে, যার পরিধি শিগগিরই সব মন্ত্রণালয়/ বিভাগে বিস্তৃত করা হবে। এর ফলে পেনশন উত্তোলনে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে বা ব্যাংকে যেতে হবে না। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট তারিখে পেনশনারের পছন্দ অনুযায়ী তার ব্যাংক হিসাবে সরাসরি পেনশনের টাকা স্থানান্তর করা হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে তা পেনশনারকে জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পেনশন বাবদ বাজেট ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ বিক্ষিপ্তভাবে পেনশন বাবদ বরাদ্দ সংরক্ষণ করতো। বর্তমানে সরকারের সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের পেনশন বাবদ বরাদ্দ অর্থ বিভাগের অনুকূলে রাখা হচ্ছে, যা এ তহবিল ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করছে। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও ভবিষ্যৎ তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পৃথক পেনশন অফিস স্থাপন করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় কাজ করবে। ফলে ভোগান্তি স্থায়ীভাবে দূর হবে।