প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটভিত্তিক কেনাকাটা ই-কমার্সকে ভ্যাটের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনভিত্তিক যেকোনো পণ্য ও সেবার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর এ সেবার আওতাভুক্ত হবে। এই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা বা পণ্য কেনাকাটা আরো বাড়বে বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। আর এ কারনেই বাজেটে ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি ৫৯ লাখ। সেই তুলনায় ই-কমার্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হলেও ভবিষ্যতে এ সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হয়।
তবে ২০১৫ সালেও প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের ওপর ৪ শতাংশ ভ্যাট রাখা হয়েছিল। অবশ্য পরে এটি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা আইটি ও ই-কমার্সকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।
ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। বার্ষিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই বাজারের আকার এখন প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এটা আরো বাড়বে বলে আশাবাদী এ খাতের সাখে সংশ্লিষ্টরা। তাই তারা ই-কমার্সের উপর ভ্যাট আরোপের বিরোধী।
দেশের হাজারো তরুণ ই-কমার্স ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা গতানুগতিক চাকরীর পেছনে না ছুটে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাই ই-কমার্সকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছে।