গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লাহ অভিমান করেছেন। শুধু অভিমান নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় লোকজনকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী পরিচালনায় তিনি ক্ষুদ্ধ। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর নির্বাচন। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না হলেও, দুই প্রার্থী ইফতার পার্টি এবং দল গোছানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রের জন্য নির্বাচনী এজেন্ট চুড়ান্ত করার কাজ চলছে। এই এজেন্ট চুড়ান্ত করা নিয়েই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে। আজমত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন, দলের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর পছন্দের লোকজনকে এজেন্ট করছেন। নির্বাচন পরিচালনার কার্যক্রমও জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের হাত থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বদলে গাজীপুরে জাহাঙ্গীর লীগ তৈরির চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম অবশ্য বলেছেন, তিনি সব আওয়ামী লীগকে বাদ দেননি। বরং যারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারে তাদের চিহ্নিত করেছেন। আজমত উল্লাহর প্রতি ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীল বলেন, কেউ কেউ নৌকা প্রতীককে হারাবার জন্য ভেতর থেকে কাজ করছেন। আমরা তাদের আলাদা করছি।
উল্লেখ্য গাজীপুরে আজমত উল্লাহ জাহাঙ্গীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের পুরনো। ২০১৩ নির্বাচনে আজমত উল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পেলো। জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এবার আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রার্থী করলে আজমত উল্লাহ তা মেনে নেন। আজমত উল্লাহকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, আজমত উল্লাহ গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন। মাঝখানে হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করলে, সন্দেহের তীর আজমত উল্লাহ্র দিকেই যায়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দু’জনের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। গাজীপুর নির্বাচনে এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার