আমাদের দেশে মানুষের জীবন যাত্রায় চামড়ার রং অনেক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গায়ের রং ফর্সা না কালো তা দিয়ে লোক বিচার করার নজিরও কম নয়। তাই ফর্সা নন, এমন লোকেদের অনেকেই সব সময়ই গায়ের রং নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। সেই চিন্তা থেকে হিনম্মন্যতা আসে যা মানসিকভাবে তাদের পিছিয়ে দেয়।আমরা সকলেই জানি, গায়ের রং কি হবে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সেটা জন্মের সময়ই ঠিক হয়ে যায় এবং তা জিনগত ব্যাপার। কিন্তু এরপরও মানুষের ফর্সা হওয়ার প্রতিযোগিতার শেষ নেই। অনেকেই ফর্সা হতে নামদামী কসমেটিকসও ব্যবহার করে থাকেন।
এখনকার দিনে সুন্দর দেখতে লাগা যেহেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই সকলেই চায় নিজেকে সুন্দর করে তুলতে। তাতে আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন মানসিক বিশেষজ্ঞরা।সেজন্য কয়েকটি ঘরোয়া উপকরণ নিয়ে গায়ের চামড়ার রং উজ্বল দিকটি তুলে ধরা হলো। এর মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেকটা ফর্সা হয়ে উঠবে।
দুধ :
দুধ হলো আল্লাহর এক বিরাট নিয়ামত। আর দুধ গোসল ত্বককে ফর্সা হতে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে। এ দিয়ে গোসল করলে আলাদা করে সাবান বা শ্যাম্পুর প্রয়োজন হয় না, ত্বকও ফর্সা হয়ে ওঠে।
ডাবের পানি:
ডাব বা নারকেলের জল ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। ত্বকের উজ্বলতা ফেরাতে, কালো ছোপ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
লেবু :
ত্বকের রং ফেরাতে লেবু সবসময়ই ব্যবহার করা হয়। লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে চামড়ায় লাগান। এটি স্বাভাবিক ব্লিচের কাজ করবে ও ত্বকের জেল্লা বাড়াবে।
গোলাপ জল :
গোলাপ জল মিশিয়ে গোসল করুন। তাতে অনেকটা লেবুর রসও মিশিয়ে দিন। লেবু ব্লিচের কাজ করবে ও গোলাপ জল গোসলের পরে জেল্লা ফিরিয়ে আনবে।
ডিমের কুসুম:
ডিমের সাদা অংশের পাশাপাশি কুসুমও ত্বকের জন্য উপকারী। কুসুম ফেটিয়ে তা ত্বকে মাখতে পারেন। তবে তা তোলার সময়ে ভিনিগার ব্যবহার করবেন। তাতে গন্ধ চলে যাবে আর আপনি ত্বক ফর্সা হবে।
দই :
ত্বকের রং ফেরাতে টক দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগান। এতে খানিক জ্বালা ভাব অনুভূত হলেও ফর্সা হতে দারুণ কাজ দেবে।
জিরে :
গোসলের পানিতে জিরে ভিজিয়ে রেখে তা ব্যবহার করুন। এটির ব্যবহারে মাত্র ১০ দিনেই ত্বকের জেল্লা না ফিরলেও দারুণ কাজ দেবে। জিরে বেঁটে নিয়ে তাতে দুধ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করেও লাগাতে পারেন। ত্বকের রং ফেরাতে দারুণ কাজ দেবে।এভাবে আপনি সাত দিনই নিজের ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন সহজেই।