গত তিন বছর থেকে ব্যক্তি শ্রেণির করসীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কিন্তু আসন্ন বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করসীমা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণির আয় করমুক্ত। আগামী বাজেটে তা আরও ২০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে ব্যক্তি শ্রেণির আয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকছে।
আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
উল্লেখ, চলতি বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির আয় আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে, আড়াই লাখ টাকা থেকে পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং তার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ আয়কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সহ অন্যান্য সংস্থাও সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এই ব্যক্তি শ্রেণির করহার ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
রোববার (৩ জুন) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি জানায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া সর্বনিম্ন করহার ১০ শতাংশ থেকে নামিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করে সংস্থাটি।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি করহারের স্তরে খুব একটা পরিবর্তন আসছে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ’সমৃদ্ধ আগামীর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়ছে প্রায় ৫৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।