জানা গিয়েছে, বিশ্বে এ ধরনের অস্ত্রোপচার এই প্রথম সফলভাবে করা হল। অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে ব্রাজিলের সিয়েরা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই নারী এখন ভীষণই খুশি। তিনি তাঁর স্বাভাবিক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারছেন।/
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমে মাছের ওই ছাল বিশেষভাবে পরিস্কার করা হয়। তারপর গবেষণাগারে ভাইরাস নষ্ট করতে আরও একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মাছের ছালটিকে। /
যৌনাঙ্গ ছাড়াই জন্মেছিলেন নারীটি। অবশেষে ২৩ বছর বয়সে এসে পেলেন সেটি। এমন ঘটনাই ঘটেছে ব্রাজিলের জুসিলিন মারিনহোর সঙ্গে। তেলাপিয়া মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হল সেই কৃত্রিম যৌনাঙ্গ এবং বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নারীর শরীরে।/
পরে মাছের ছালটি ওই নারীর শরীরের বসিয়ে একেবারে বিলীন করে দেওয়া হয়। এরপর সেটাকে টিসুতে পরিণত করা হয়। ২৩ বছর বয়সি জুসিলেনা মারিনহো এখন স্বাভাবিক যৌন জীবন যাপন করছেন।/
যৌনাঙ্গের বহিরাংশ স্বাভাবিক থাকার কারণে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগে এই রোগ ধরা পড়েনি তার। বয়সন্ধির সময়টাতে তার যৌবনের সব লক্ষণই দেখা দেয় এবং মাসিকের যন্ত্রণাও হয় কিন্তু ঋতুস্রাব হয়নি।/
তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর বয়ফ্রেন্ড মার্কাস স্যান্টোস (২৪) এর সঙ্গে এসে প্রথম শারীরিকভাবে মিলিত হন। গত এক বছর ধরে প্রেম করছিলেন তারা।/
জুসিলেনা মারিনহো বলেন, এ ছিল এক আনন্দদায়ক মূহুর্ত। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো কাজ করেছে। কোনো ব্যথা ছিল না। শুধু প্রচুর আনন্দ এবং সন্তুষ্টি ছিল।/
জুসিলেনা মারিনহো রকিটানস্কি সিনড্রোম বা এমআরকেএইচ নামের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জন্মের সময় তার গর্ভাশয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয় ছিল না। তবে পরে অবশ্য ডিম্বাশয় তৈরি হলেও ডিম্বাশয়ের সঙ্গে যৌনাঙ্গের বহিরাংশের সংযোগ স্থাপনের জন্য ভেতরের নালী ছিল না। /
সাধারণত কুচকির ত্বক নিয়ে ভ্যাজাইনাল ক্যান্যাল তৈরি করা হলেও এই প্রথম মাছের ত্বক থেকে করা হলো। কারণ এতে আগের চেয়ে কম সময় লাগে ও ব্যথা কম হয়। আর তেলাপিয়া মাছের ত্বকই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো। এর আগে ২০০ আগুনে পোড়া রোগীর ক্ষত সহজেই সারানো হয়েছে তেলাপিয়া মাছের ত্বক দিয়ে।/
প্রতি ৫০০০ নারীর মধ্যে একজনের এই ধরনের রোগ হয় বলে ১৯৮৫ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে।/
যৌনাঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর এই রোগে আক্রান্ত নারীরা তাদের ডিম্বানু নিয়ে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের মা হতে পারেন। তবে যাদের ডিম্বাশয় থাকে না তার সন্তানের মা হতে পারেন না।/
সূত্র: ডেইলি মেইল