থানকুনি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। পেট ও মস্তিষ্কের বিকাশে দুর্দান্ত কার্যকর। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন জেনে নেওয়া যাক—
পেটের রোগ নিরাময়ে
পেটের রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতা দারুণ কার্যকর। যে কোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়তা করে। পেট খারাপের চিকিৎসায়ও এই পাতা বেশ সহায়ক।
অনিদ্রা দূরীকরণে
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে সহজেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
মস্তিষ্কের বিকাশে
থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে উপকারী। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড বর্তমান। এতে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমে।
স্ট্রেচ মার্ক কমায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতা স্ট্রেচ মার্ক কমাতে পারে। অনেকের মত, থানকুনি পাতায় থাকা টারপিনয়েড শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এটি নতুন করে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হতে বাধা দিতে পারে।
তবে থানকুনি পাতা সেবনে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন—তন্দ্রাভাব, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, ত্বকের সমস্যা প্রভৃতি। যাঁদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন অবশ্যই।