ক’রো’নাভা’ই’রাস সং’ক্রম’ণের পরি’স্থিতি বিবেচনায় ঈদুল আযহা নামাজের জামাত আদায়ের বিষয়ে বি’ধি’নি’ষেধ আ”রোপ করেছে ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ঈদুল আজহার নামাজ স্বা’স্থবিধি মেনে শ’র্ত’সাপেক্ষে
ঈদগাহ, খোলা জায়গা ও মসজিদে আদায় করা যাবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে,
‘ক’রো”নাভাই”রাসজ’নিত রো’গ (কো’ভি’ড-১৯) সংক্র”মণের পরি”স্থিতি’ বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৩০ জুন ও ৫ জুলাই কতিপয় ‘বিধি-নিষে’ধ আরোপ করে নির্দেশনা’ জারি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান কো”ভিড-১৯ সং’ক্র’মণ পরিস্থি’তি’ বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শ’র্তসা’পেক্ষে ১৪৪২ হিজরি/২০২১ সালের পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
ক. ক’রো’নাভা’ইরা”স (কোভিড-১৯) এর স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁ’কি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা স্বা’স্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহার জামায়াত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। খ. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পে’ট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবা’ণু’না’শক দ্বা’রা জী’বাণু’মু’ক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়’নামাজ নিয়ে আসবেন। গ. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সা’বান-পা’নি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঘ. ক’রো’নাভা’ই’রা’সে’র সং”’ক্রমণ রোধে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যা’ন্ড স্যানি’টাইজার রাখতে হবে। ঙ. মসজিদ/ঈদগাহের প্রবেশদ্বা’রে হ্যান্ড স্যানিটা’ইজার/হাত ধো’য়া’র ব্যব’স্থাসহ সাবান ও পা’নি রাখতে হবে। চ. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদে সংর’ক্ষি’ত জা’য়নামা’জ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ছ. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূ’রত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁ’ড়াতে হবে। জ. শিশু, বয়ো’বৃদ্ধ, অ’সু’স্থ ব্যক্তি এবং অসু”স্থ’দের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরু’ৎসা’হিত করা হলো।
ঝ. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চি’তকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খ’লা নি’য়ন্ত্রণকারী বা’হি’নীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ঞ. ক’রো’না’ভা’ই’রা’সের সং’ক্র’ম’ণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। ট. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক ম’হাবি”প’দ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগ’ফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অ’পরা”ধের’ জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ঠ. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থা’নীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
২। উল্লিখিত নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা র’ক্ষা’কারী বা’হি’নী সংশ্লি’ষ্ট দায়িত্ব”শী’লদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। প্রা’ণ’ঘা’তী ক’রো”নাভা”ইরা”সের সংক্রমণ রোধে স্থা’নীয়’ প্রশাসন, আইন’শৃঙ্খ”লা নিয়’ন্ত্রণকারী বা’হিনী’, ইসলামিক ‘ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট ‘মসজিদের পরিচালনা ক’মিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অ’নুরো’ধ জা’নানো হলো। গত বছর করোনা ”সংক্র’ম’ণের কা’রণে খো’লা জায়গার’ পরিবর্তে মসজি’দে ঈদুল ফি’তর ও ঈদুল ‘আ’জহা’র নামা’জ আদায়’ করা ‘হয়।