পাসপোর্ট অফিসের একটি ভুলে দুবাই যাওয়া হলো না হারুনের, ঋণের বোঝা টানতে দি;শেহারা

ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. হারুনুর রশিদ। স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের একটি খামখেয়ালি ও ভুলের কারণে তার সেই স্বপ্ন এখন গুড়েবালি। উপরন্তু দেনার দায়ে দরিদ্র হারুনুর রশিদ এখন দি;শেহা;রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ গত ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর পাসপোর্টের জন্য নোয়াখালী অফিসে আবেদন করেন। পরে ২০২০ সালের ১২ আগস্ট তার নামের পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়।

এরপর ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাকরির সন্ধানে ধার-দেনা করে দুই লাখ টাকা সুদের ওপর নিয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য ভিসা সংগ্রহ করেন মো. হারুন। গত ৯ মে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য প্লেনের টিকিট সংগ্রহ করেন। ১০ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান তিনি।

কিন্তু ইমিগ্রেশন অফিসার মো. হারুনের পাসপোর্টে দুই পাতায় দুই ব্যক্তির নাম ঠিকানা দেখে তাকে বিমানবন্দর অতিক্রম করতে দেননি। এতে মাথায় আকাশ ভে;ঙে পড়ে হারুনের।

পাসপোর্টে ছবিযুক্ত পাতায় মো. হারুনুর রশিদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার পাতায় দেয়া আছে দেলোয়ার হোসেন, পিতা-লোকমান মিয়া, গ্রাম- মধ্য সুন্দলপুর (৬ নম্বর ওয়ার্ড), উপজেলা- কবিরহাট, জেলা- নোয়াখালী।

এদিকে, পাসপোর্ট অফিসের খামখেয়ালি ও একটি ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে দরিদ্র হারুনকে। বিদেশ যেতে না পেরে স্বপ্নভঙ্গ হারুন এখন দেনার দায়ে দিশেহারা। ভিসা ও টিকিটের টাকাও গচ্ছা যাওয়ার পাশাপাশি দেনার বোঝাও মাথায় উঠলো।

ভুক্তভোগী হারুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে গিয়ে এখন পাসপোর্ট অফিসের ভুলে আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার এ দেনার দায় এখন কে নিবে। পাওনাদারের জ্বা;লায় এখন আ;ত্মহ;;ত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই আমার।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মাহের উদ্দিন শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ভুল আমাদের নয়। পাসপোর্ট তৈরির মেশিনে যারা কাজ করেন তারাই ভুলটি করেছেন। ভুক্তভোগী পুনরায় আবেদন করলে ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।’