মোদীকে পিছনে ফেলে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে মমতাঃ তৃণমূল- ২০২ আসন, বিজেপি- ৭৭ আসনে এগিয়ে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফলাফলের যে ট্রেন্ড তাতে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে বিপুল ব্যবধানে জিতে টানা তৃতীয়বারের মত আবারো রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূল কংগ্রেস।

দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ২৮৪টি আসনের ফলাফলের ট্রেন্ড জানিয়েছে, তাতে ২০২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি পেতে যাচ্ছে মোটে ৭৭টি আসন।

দেখা যাচ্ছে যে ২৯২টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার অধিকাংশের ব্যাপারেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে এরই মধ্যে।

কলকাতা থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত কোনো আসনের চূড়ান্ত ফলাফল না জানানো হলেও অধিকাংশ আসনে এগিয়ে থাকা দলের ব্যবধান এত বেশি যে পরবর্তীতে ফল অন্যরকম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তবে দল জিতবে বলে আশা তৈরি হলেও দলের প্রধান মমতা ব্যানার্জী একমাত্র যে আসনটি থেকে লড়ছেন, সেই নন্দীগ্রামে এখন পর্যন্ত যতদূর ভোট গণনা হয়েছে তাতে বেশ পিছিয়ে আছেন তিনি। এখানে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, যিনি একসময় তৃণমূলেই ছিলেন।

মমতা ব্যানার্জী যদি শেষ পর্যন্ত হেরেই যান এবং তার দল যদি জেতে তাহলে আবার মুখ্যমন্ত্রী হতে হলে তাকে ছয় মাসের মধ্যে কোন একটা আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষনা না এলেও প্রধান দলগুলোর শিবিরে এরই মধ্যে বার্তা পৌঁছে গেছে জয়-পরাজয়ের।

কলকাতা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ আর অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, কলকাতার রাস্তায় এই মধ্যে আগাম বিজয় উদযাপন তারা করতে দেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের।

কলকাতায় তৃণমূলের মিডিয়া সেন্টার সমর্থকদের ভীড়ে সরগরম থাকলেও বিজেপির নির্বাচনী অফিস করছিল খাঁ খাঁ।

তবে ফলাফলে হঠাৎ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী।

গত নভেম্বরের বিহার নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বিহারের নির্বাচনের ফলাফল যখন দেয়া হচ্ছিল, তখন দুপুর ১টা পর্যন্ত হিসেব একরকম ছিল। তারপর থেকেই বিজেপি’র পাল্লা ভারী হওয়া শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত কিন্তু বিজেপি ও তার মিত্র দলগুলোই জয় পায়।”