এক লোকের চারজন স্ত্রী ছিল। একদিন লোকটা অসুস্থ হয়ে পড়লো এবং জানতে পারলো যে সে আর বেশী দিন বাঁচবেনা। লোকটা ইচ্ছা করলো যে…

‘আমি কিন্তু নরম প্রকৃতির মানুষ না। মানসিকভাবে খুবই শক্ত প্রকৃতির মানুষ আমি। এতো সহজে ভেঙ্গে পড়িনা। সহজে কিছু হয় না আমার। যে দুর্ঘ’টনার শিকার হয়েছি এতেআমার বিন্দুমাত্র আফসোস হচ্ছে না। কারণএকজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছি আমি। চিকিৎসক আমাকে সাত দিন বেড রেস্ট নিতে বলেছেন। তবে ইন্টার্নালি কোনো সমস্যা হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য সাত দিন পর আবার টেস্ট করালে।’ বলছিলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল।

বৃহস্পতিবার ইফতারের আগে রাজধানীর বনানী ক্লাবের পাশে দুর্ঘ’টনায় আহত হন ভারতের ‘সারেগামাপা’ থেকে উঠে আসা বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী নোবেল। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

নোবেল এ দুর্ঘ’টনায় মাথার তালুতে ১২টা আর বাঁ পাশের ভ্রুতে ১৮টা; মোট ৩০টা সেলাই দিতে হয়েছে। নোবেল বলেন, ‘গতকাল ইফতারের দাওয়াতে যাওয়ার পথে বনানী ক্লাবের পাশের একটি জায়গায় দুর্ঘ’টনাটি ঘটে। তখন আমার মোটরসাইকেলের সামনে হঠাৎ করেই একজন বয়স্ক লোক অসতর্কভাবে চলে আসে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমি আহত হই।’

তবে নোবেল এখন সঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন। ভক্ত ও তার শ্রোতাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অপরিণত কথাবার্তা, ‘তামাশা’ গানের প্রচারণায় অন্য শিল্পীদের অশ্রদ্ধা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর, জাতীয় সংগীত বিতর্ক—সব মিলিয়ে এপার-ওপারে ভীষণ সমালোচিত হয়েছিলেন নোবেল। অনেকেই তার ক্যারিয়ারের ‘শেষ’ দেখে ফেলেছিলেন ওই সময়। কিন্তু গত বছরের শেষে এসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নোবেল। শুধরে নিয়েছেন নিজেকেও। একের পর এক প্রকাশ করছেন মৌলিক গান। আগামী ঈদেও নোবেলের কণ্ঠে নতুন গান আসবে বলে জানালেন তিনি।