কিডনি সুস্থ রাখবে যেসব খাবার

আমাদের শরীরের অন্যতম একটি অংশ জুড়ে আছে কিডনি। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করা ও চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনযাত্রার অভ্যাস ও খাদ্যের পুষ্টির অভাবে মারাত্মক এই রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ধীরগতিতে আক্রান্ত কিডনি রোগীরা কোনো দিন কিডনি কার্যক্ষমতা ফিরে পায় না, বরং ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধানে কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং একপর্যায়ে ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন স্তরে পৌঁছায়। তখন ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচানো যায় না।

তবে কিছু খাবার আছে যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। আজ জানবো সেই খাবারগুলোর থেকে কয়েকটি সম্পর্কে।

৥ রসুন: মসলা হিসেবে ব্যবহৃত রসুন ইনফ্লেমেটরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। যদিও রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।

৥ বাঁধাকপি: বাঁধাকপি কিডনির ফাংশন উন্নত করে থাকে। সবজীটিতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬, সি, কে, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড। এটি শরীরের পটাসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সালাদ অথবা রান্না করে খেতে পারেন।

৥ পেঁয়াজ: কিডনি সুস্থ রাখার অন্যতম উপাদান হল পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে থাকে। এছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম,প্রোটিন আছে যা কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী।

৥ ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এতে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে। কিডনি রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদান বেশ কার্যকরী। ডিম সিদ্ধ করে বা অমলেট করে খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ, ডিমের সাদা অংশ শুধু।

৥ মাছ: আমাদের ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ বলা হয়। তবে নানা কারণে অনেকের আগের মতো মাছ থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি আরোহন করতে পারে না। তবে, মাছ দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন হ্রাস করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে।