একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ, অন্যদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা:চিন্তায় ভর্তিচ্ছুরা

রেকর্ড সংখ্যক হারে বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই করোনার এই ভয়াবহ রুপ প্রকাশ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন চাকরি প্রার্থী ও ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের অনেকেই। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে গতকাল সোমবার সরকার করোনায় ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। ওই দফায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অথচ পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির তত্ত্বাবধায়নে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব। কিন্তু সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনার পরও এখন এই পরীক্ষার আয়োজন কতখানি যৌক্তিক বলে প্রশ্ন তুলছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। অনেকের অভিযোগ এই পরিস্থিতিতে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণেও ব্যাঘাত ঘটছে।

এ বছর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে রাজধানীসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এবার রেকর্ডসংখ্যক এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন। গত বছর যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭২ হাজার। সেখানে এতোগুলো মানুষের এক সাথে সমাগম স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদৌও সম্ভব কিনা সে বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রস্তুতকারী শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী সৌমিক বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগমের ব্যবস্থা করছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার নমুনা আমরা দেখেছি। এ সময় পরীক্ষার নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।

ঢাকার শিক্ষার্থী শিলা রহমান বলেন, মেডিকেলে ভর্তি আমার ও আমার পরিবারের স্বপ্ন। কিন্তু এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কতখানি ভালো পরীক্ষা দেয়া সম্ভব সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমাদের। অলরেডি এই মাসের বিসিএস পরীক্ষার পর থেকে করোনায় লাগাম ছাড়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা তাদের মনোভাব জানিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দেয়ার জন্য আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থীও বর্তমানে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

নারায়ণগজ্ঞের এক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী বলেন, একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন চলছে। আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ ব্যাঘাত ঘটেছে।