প্রকৃত বয়স কত, জানালেন ‘শি’শুবক্তা’ রফিকুল

ম’দিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেও নামের শেষে ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার করে ওয়াজ মাহফিল করায় আ’লোচিত শি’শুবক্তা রফিকুল ইস’লামকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ম’দিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মা’ওলানা রফিকুল ইস’লাম মাদানীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান এই নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশদাতা মা’ওলানা রফিকুল ইস’লাম মাদানী হলেন হেফাজতে ইস’লাম বাংলাদেশের ম’দিনা শাখার আমীর ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই আইনি নোটিশ পাঠানোর পর মূলধারায় আলোচনায় আসেন ‘শি’শুবক্তা’ ওরফে রফিকুল ইস’লাম। তার বি’রুদ্ধে আইনি নোটিশের পরে নিজের নামের পক্ষে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে যু’ক্তিও দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন প্রমাণ। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে আলোচনায় এলেন শি’শুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইস’লাম। যদিও তিনি সোশ্যাল প্ল্যাটফরমগুলো ব্যাপকভাবে পূর্ব থেকেই পরিচিত।

রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় বি’ক্ষোভে পু’লিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। এ সময় পু’লিশ বি’ক্ষোভে অংশ নেওয়া রফিকুল ইস’লাম ওরফে শি’শুবক্তাকে আ’ট’ক করে।

ভা’রতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বি’ক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। পু’লিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বি’ক্ষোভকারীদের সঙ্গে পু’লিশের সং’ঘর্ষ বাধে। এ সময় পু’লিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পু’লিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাট’কেল নিক্ষেপ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মা’র্চ) দুপুর ১২টায় মতিঝিল শাপলা চত্বরে এই সং’ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ সং’ঘর্ষে উভ’য় পক্ষের বেশ কয়েকজন আ’হত হন। এ ঘটনার পর মতিঝিল এলাকা থেকে পু’লিশ শি’শুবক্তা রফিকুল ইস’লাম মাদানীসহ ১১ জনকে আ’ট’ক করে কাভা’র্ডভ্যানে করে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য রাতেই শি’শুবক্তা ওরফে রফিকুল ইস’লামকে ছেড়ে দেয় পু’লিশ।

দিনভর আলোচনায় থাকা রফিকুল ইস’লাম ওরফে শি’শুবক্তাকে নিয়ে দেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আলোচনা চলতে থাকে। এ সময় অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে- কে এই শি’শুবক্তা। শি’শুবক্তা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কিন্তু শি’শু নন। তবে শি’শুবক্তা শব্দটি ব্যবহার হয় বিভিন্ন সময়।

রফিকুল ইস’লাম রাজধানীর বারিধারায় মাদানী এভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন। এ ছাড়া তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইস’লামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জে’লার সহ-সভাপতি।

এক ওয়াজ মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারির সমালোচনা করে তার প্রকৃত বয়স উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমাকে শি’শুবক্তা বানিয়ে রাখা হয়। আজহারি সাহেবের দ্বারা যদি ইস’লামের খেদমত হয় তাহলে আমা’র কোনো আ’পত্তি নাই। আজহারি সাহেব ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, আর আমি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছি। এখনো আমাকে শি’শুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আমাদের বয়স মাত্র তিন-চার বছরের ব্যবধান। আল্লাহ তাআলা বানাইছে। দেখতে এমন লাগে। আমা’র করার কিছু আছে? এ জন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি।

নিজের পড়াশোনা নিয়ে বলেন, আমি ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে বাংলা ইংরেজি অঙ্ক পড়েছি ও শিখেছি। তারপর ক্লাস সিক্স পর্যন্ত স্কুলে পড়েছি। এরপর মাদ্রাসায় ভর্তি হই। নূরানিতে পড়েছি এক বছর। আল্লাহর রহমতে দুই বছরে হেফজ শেষ করেছি। এখানে তিন বছর, আগের ১২ বছর মোট হলো ১৫ বছর। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েছি। কেন বলতেছি এগুলা? ইউটিউবে আমা’র নামে এত মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আমি নিজেকে জ্ঞানী মনে করি না।

রফিকুল ইস’লামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তার যেমন বিশাল পরিচিতি রয়েছে, তেমনি সমালোচকও রয়েছে অনেক। এরিমধ্যে গতকাল আ’ট’ক হয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন রফিকুল ইস’লাম।